আরমান হোসেন খান,জেলা প্রতিনিধি,ঢাকাঃ
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। এ বিষয়ে সকলের সচেতন থাকা জরুরী। আসলে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে শরীরও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর এ সময় শরীর ক্লান্ত লাগার প্রধান কারণ হলো হিট স্ট্রোক। বিশেষ করে বদ্ধ ঘরের মধ্যে বসে সারাদিন যারা কাজ করেন, তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আবার অতিরিক্ত ঘাম হয়ে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে যে কোনো স্থানে যে কোনো সময় হিট স্ট্রোক হতে পারে। এখনই হিট স্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক না হলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে,শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্ত দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। প্রচণ্ড গরমে বেশি সময় অবস্থান বা পরিশ্রম করলে দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ আর সম্ভব হয় না। এতে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণঃ
১) হিট ক্র্যাম্প হওয়া (এক্ষেত্রে শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়)। ২) শরীর দুর্বল লাগে। ৩) প্রচণ্ড পিপাসা পায়। ৪) দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস। ৫) মাথাব্যথা। ৬) ঝিমঝিম করা। ৭) বমিভাব। ৮) অসংলগ্ন আচরণ। ৯) শরীর অত্যন্ত ঘামতে থাকে। ১০) শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। ১০) ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। ১১) ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়। ১২) নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ বা দ্রুত হয়। ১৩) রক্তচাপ কমে যায়। ১৪) প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ১৫) রোগী শকেও চলে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
কিভাবে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করবেনঃ
১) হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো হয়। ২) যথাসম্ভব ঘরের ভিতরে বা ছায়া যুক্ত স্হানে থাকুন। ৩) বাইরে বের হলে টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করুন। ৪) প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন। গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ দুটোই সরিল থেকে বের হয়ে যায়, তাই পানির সঙ্গে রক সল্ট মিশিয়ে খেতে পারেন। এর পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, ফলের রস, শরবত ইত্যাদিও পান করতে পারেন। ৫) চা বা কফি যথাসম্ভব কম পান করুন।
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ এবং প্রতিরোধে করনীয়
- Reporter Name
- Update Time : ০৬:১৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
- ১৯৬ Time View
Tag :
Popular Post