মো:সাদেকুল ইসলাম,লালমনিহাট জেলা প্রতিনিধি:লাইসেন্সবিহীন করাত কলে সয়লাব গোটা লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা । কোনো কাগজপত্রের বালাই নেই এসব করাত কলে। সরকারি খাস জমি কিংবা রাস্তার পরিত্যক্ত জায়গা দখল করে যত্রতত্র এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ করাত কল চলছে বছরের পর বছর। সংশ্লিষ্টদের মাসোয়ারা দিয়ে পরিচালিত এসব করাত কলের বেশির ভাগই শ্যালো মেশিন দিয়ে চলার কারণে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তেমনি উজাড় হচ্ছে বনভূমি। মানা হচ্ছে না বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো নিয়মনীতি। অপরদিকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সংশ্লিষ্টদের নাকের ডগায় পরিচালিত এসব করাত কলে দিনরাত সমানে কাটা হচ্ছে অপরিপক্ব গাছপালা। আদিতমারী উপজেলায় মাত্র ২৩ টি বৈধ লাইসেন্স প্রাপ্ত করাত থাকলেও করাত কল রয়েছে ৬৪ টি। বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে করাত কল মালিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রফিকুল ইসলাম জানায়, ৬৪টি মধ্যে ৮টি করাত কলের লাইসেন্স রয়েছে এবং বেশকিছু মিলের কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে যে ভেলাবাড়ী বাজারের মেইন রোড সংলগ্ন আবু তালেব মিয়ার স মিল সহ ভেলাবাড়ী বাজারে লাইসেন্সবিহীন আরো তিনটি ছমিল রয়েছে। অবৈধ মিলগুলোর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। লালমনিরহাট জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা জনাব আনিসুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন গোটা লালমনিরহাট জেলায় অসংখ্য স মিল থাকলেও বৈধ লাইসেন্সধারী স মিলের সংখ্যা ৭৮ টি বাকি সব অবৈধ। ভেলাবাড়ী বাজারের মায়ের দোয়া স মিলের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন আগের মত এখন আর কার্ড চেরাই হয় না স মিলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কাস্টমার কম তাই শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে কষ্ট হচ্ছে আমাদের। তিনি বলেন অবৈধ মালিকদের বিরুদ্ধেব্যবস্থা নিলে বৈধরা সুন্দরভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে সক্ষম হবে। কালিস্থান বাজারের সমিল মালিক সাইফুল ইসলামকে স মিলের লাইসেন্স সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আবেদন দিয়েছি প্রক্রিয়াধীন।
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
লাইসেন্সবিহীন করাত কলের ছড়াছড়ি আদিতমারীর সর্বত্র
- Reporter Name
- Update Time : ০৯:৩৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- ১৪৭ Time View
Tag :
Popular Post