মোঃ রেজাউল করিম,
ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর,ময়মনসিংহ:নতুন কৌশলে প্রতারণার ফাঁদ- এখন গ্রামীনফোনে।
এখন নতুন করে গ্রামীণফোন কোম্পানি কিছুটা প্রতারণায় আশ্রয় নিয়েছে।
গত বুধবার থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জ ৩০ টাকা নির্ধারণ করার কথা ছিল,কিন্তু ক্ষোভের মুখে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা রিচার্জের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে গ্রামীণফোন টেলিকম সেবাদান প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তার পর আবার নতুন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে কোম্পানি।জিপি সিমে রিচার্জের সর্বনিম্ন পরিমাণ-৩০ টাকা রিচার্জের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ করা হচ্ছে ১০দিন।অর্থাৎ নতুন ২০ টাকা রিচার্জের করলে আপনি পাবেন মাত্র ১০ দিন মেয়াদ ‘যা পূর্বে ছিল ৩০ দিন।
গ্রামীণফোনের এমন সিন্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রাহকরা।রিচার্জের বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা ফেসবুকে সমালোচনার ঝর তুলেছে এবং সেই সাথে কয়েকটি ইভান্ট ক্রিয়েট করে গ্রামীণফোন বয়কটের ডাক দিয়েছে গ্রাহকরা।
গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন-মোছাঃ”সুমাইয়া আক্তার শিমি”নামে ছাত্রী
(কুডিগ্রাম-রতিগ্রাম)
এক ব্যবহারকারী। তিনি আজ (রবিবার) সকালে ১০ টাকা তার মোবাইলে রিচার্জ করে দেখতে পান মেয়াদ পেয়েছেন ১০ দিনের। এ সময় তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, অনেকদিন ধরে গ্রামীনফোনের সেবা নিচ্ছি। এরা এক এক সময় এক ধরনের গ্রাহকদের উপর নানা বিষয় চাপিয়ে দেয়ার চেস্টা করে যা আমাদের পছন্দের বাইরে। এই দিগে ময়মনসিংহ,গাজীপুর সহ সারা দেশে গ্রাহকদের ঐ একই কথা।
গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন- গ্রামীণফোন গ্রাহক ও বিটিআরসি থেকে বাঁচতে নতুন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে কোম্পানিটি। তারা ৩০ টাকার সর্বনিম্ন রিচার্জ এর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে গ্রাহকদের রিচার্জ এর ব্যবহারের উপর সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছে। এ ধরনের হঠকারী মূলক সিদ্ধান্ত গ্রামীণফোন বা কোন অপারেটর করতে পারে না। তাদের টকটাইমের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ বিটিআরসি নির্ধারণ করে দিলেও রিচার্জ করার ক্ষেত্রে কোন মেয়াদ কমিশন নির্ধারণ করে দেয় না তারা। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রাহকের নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করবে। সেই সাথে বাড়বে খরচ,বিটিআরসির উচিত গ্রামীণফোনকে এক একবার এক এক ধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত নেবার উদ্দেশ্য কি কিংবা তারা কেন এ ধরনের কাজ করছে তার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক গণশূনানী অনুষ্ঠিত করা জরুরী দরকার বলে গ্রাহকরা মনে করছেন।গ্রামীনফোন-প্রতিষ্ঠানটি আসলে কি চায় সর্বোচ্চ মুনাফায় থাকা একটি প্রতিষ্ঠান কেন এই ধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে-তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এ বিষয়টি বিটিআরসি কে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন এ পাশাপাশি জিপিকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিবে বলে,বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রাহকরা আমাদেরকে জানান।
১৯৯৭সালে ২৬ মার্চ থেকে
ফ্লেক্সিলোডের শুরুর আমল থেকেই গ্রামীণফোনে সর্বনিম্ন ১০ টাকা রিচার্জ করা যেত। ১০ টাকা রিচার্জ করলে ১ মাস মেয়াদ পাওয়া যেত। এরপর ২০২২ সালের জুলাই থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ২০ টাকা করা হয়। আর এখন ২০২৪ সালে এসে ২০ টাকার পরিমাণ এই হলোও গ্রাহকের ক্ষোভের মুখে আবারও বৃদ্ধি না করতে পারলেও মেয়াদ কিন্তু ১০ দিন করা হলো,যাহা অদ্ভুত বিষয়।
অতএব,সারা দেশের হাজারো “সুমাইয়া আক্তার শিমির” মত নাম-না জানা গ্রাহক দের হৃদয়ের গহীনে মনের ভিতর হাজারো জঁমে থাকা কষ্টকে কর্তৃপক্ষ সারা দেবে কি?এই একই প্রশ্ন বর্তমান ৭ কোটি ৬৪ লাখ ৬২ হাজার,গ্রামীন সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ।