আরমান হোসেন খান,
উপজেলা প্রতিনিধি,ধামরাই (ঢাকা):ঢাকার ধামরাইয়ে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হওয়া উচ্চ ফলনশীল জাতের কুলে (বরই)লাভের আশা করছে কৃষকরা। কুলবাগান গুলো কাঁচা – পাকা কুলে থোকায় থোকায় ভরে গেছে। আপেল কুল,কাশ্মীরি কুল, নারকেলী কুল সহ বেশকিছু উন্নত জাতের কুল আবাদ করা হয়েছে। এসব উন্নত জাতের কুল গাছের চারা রোপণ করার ৭ থেকে ৮ মাসের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু হয় এবং রোগ বালাই কম হওয়ায় প্রতিটি গাছে ফলন অনেক ভালো হয়।
সরেজমিনে দেখা যায় – কুল বাগানে সারি সারি কুল গাছ। আকারে ছোটো বড়জোর ৪ থেকে ৫ ফুট কুল গাছ কুলের ভারে নুয়ে পড়ছে।
কুল চাষী মনিরুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে সাত বিঘা জমিতে উন্নত জাতের কাশ্মীরি জাতের ‘ বল সুন্দরী আপেল কুল ‘ চাষ করেছেন তিনি। এই কুল গাছে প্রথম বছরেই ফলন আসে আর তাতে বিঘা প্রতি ১০০ থেকে ১২০ মণ হারে ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। এ কুল বাগান রোপণ ও পরিচর্যায় তার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফা আশা করছেন।
পূর্ব বাসনা গ্রামের আরেক কুল চাষী আলী হোসেন বলেন,আমি ৩ বছর যাবত কুল চাষ করি। আপেল কুল, কাশ্মীরি ও নারকেল কুল এই ৩ জাতের কুল আবাদ করছি। এসব উন্নত জাতের কুল গাছে চারা রোপণের ৭/৮ মাসের মধ্যেই ফুল আসতে শুরু করে এবং গাছে রোগ বালাই খুবই কম হয়।
প্রথম বছর উৎপাদন খরচ লাগলেও পরবর্তী বছর থেকে একটু পরিচর্যা আর সামান্য জৈব সারের ব্যবহার করলেই হয়। বিঘা প্রতি ৩০ হাজার টাকা খরচে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফল পাওয়া যায়।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান জানান,
‘ ধামরাইতে প্রতিবছর কুল চাষী বাড়ছে। কুল চাষে সবজির চেয়ে বেশি লাভ হয়। এজন্য কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষে ঝুঁকছে। আর কুল চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় চাষাবাদ খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হয়।
এবছর উপজেলার প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা উপজেলার কুল চাষীদের সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।