সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:সিদ্ধিরগঞ্জে সোর্স দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এএসআই আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। ৪ মে সন্ধ্যা ৭টায় সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ পুরান কাঠপট্টি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী মো: হোসেন মনাকে সোর্স সোহেলের সহযোগিতায় গাঁজাসহ আটক করে এএসআই আব্দুল খালেক।
কিন্তু তাকে গ্রেফতার না দেখিয়ে তার কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ সময় এএসআই আব্দুল খালেকের সোর্স সোহেল জানিয়ে দেয় দৈনিক ৫০০ টাকা করে দিলে তাকে ব্যবসা করতে দিবে। নয়তো তাকে ব্যবসা করতে দিবে না।
এ বিষয়ে মাদক ব্যবসায়ী মো: হোসেন মনা জানান, সোর্স সোহেল প্রথমে আমাকে সুইচ গিয়ার (চাকু) ঠেকিয়ে জিজ্ঞেস করে মাদক কোথায় রাখসি। কিন্তু আমার কাছে তখন কোনো মাদকই ছিলো না। মাদক না পেয়ে মামলা দিয়ে আমাকে চালান দেয়ার ভয় দেখায় সোর্স সোহেল। এর কিছুক্ষণ পর আবার টাকা চায়। টাকা দিলে নাকি ছেড়ে দিবে। পরে আমি ৫ হাজার টাকা ম্যানেজ করে সোর্স সোহেলের হাতে দেই।
জানা যায়, সোর্স সোহেল সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার চাঁন বাদশার বাড়িতে মাদকের ব্যবসা চালায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোহেল মাদকের সবচেয়ে বড় ডিলার। হেরোইন গাঁজাসহ সব ধরনের মাদকের কেনা বেচা করে পুলিশের এই কথিত সোর্স। কিন্তু সে পুলিশের ছত্র-ছায়ায় মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এর আগে সোর্স সোহেলকে ২২ বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি।
এ বিষয়ে এএসআই আব্দুল খালেক অস্বীকার করে বলেন, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। আমি কোন সোহেলকে চিনি না।