মোঃলিটন চৌধুরী,সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করেছে শিক্ষক। কদমতলী মদিনাবাগ এলাকার সবুরা খাতুন ইসলামিয়া মাদ্রাসায় নাজেরা বিভাগের ছাত্র জুবায়েরের (১০) সাথে গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে রাখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আহত ছাত্র জুবায়ের একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে স্থানীয়দের সহায়তায় ম্যানেজ করে কৌশলে ঐ মাদ্রাসা শিক্ষককে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে উক্ত মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঐ শিক্ষকের বিষয়ে কোন তথ্য সাংবাদিকদের প্রদান করেনি। তারা জানান, প্রায় ১৩ দিন পূর্বে অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলামকে মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হয়। শুক্রবার ছাত্র পিটিয়ে জখমের ঘটনায় পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলে পরদিন শনিবার তাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর বাইরে ঐ শিক্ষকের বিষয়ে আর কোন ধরণের তথ্য সাংবাদিকদের প্রদান করেনি মাদ্রাসার মালিক মো. আলমগীর বেপারী ও পরিচালক মো. নাঈম বেপারী।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মম এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে এক’শ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আপস-মিমাংসা করে। যাতে পরিবারের সদস্যরা আইনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারে। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে পরে জানাজানি হয়। এর আগেও একই মাদ্রায় আরো ৪/৫ জন শিক্ষার্থীর সাথেও একই ধরণের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলামের তথ্য চাইলে মাদ্রাসা মালিক ও পরিচালক জানায়, ১৩ দিন পূর্বে তাকে মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হয়। এসময় তার কাছ থেকে কোন ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করেনি। তবে ছাত্র পিটিয়ে জখম করার বিষয়টি স্বিকার করেন মাদ্রাসার মালিক, পরিচালক সহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা গিয়াস উদ্দিন তার ছেলেকে মারধরের কথা স্বিকার করে বলেন, আমার ছেলে এখন বাসায় আছে। তারা অনেক অনুরোধ করেছে, তাই তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।