রকি বিপ্লব,ঢাকা:রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১৪ থেকে ই সি বি চত্বর দিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুরে) সড়ক। পুলিশ, পাত্তি নেতা ও প্রভাবশালীদের মাসোহারা দিয়ে এ মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে ফিটনেস ও কাগজবিহীন লেগুনা । এছাড়া অদক্ষ চালক দিয়েই চলছে লেগুনা যানবাহনগুলো। অদক্ষ চালক ও হেলপারের কারণে এ সড়কে ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। এছাড়া যানবাহন দিয়ে সড়ক দখল করে রাখা হচ্ছে। প্রায় সময় এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল হয়ে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। ফিটনেসবিহীন গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
সূত্র জানায়, মিরপুর ১৪ থেকে এসিবি চত্বর ৪০থেকে ৪৫ টা লেগুনা গাড়ি চলাচল করে। তবে এসকল যানবাহনের বেশির ভাগই ফিটনেস ও বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানা যায়। এর মাঝে বেশিরভাগ লেগুনার বৈধ কোনো কাগজপত্র ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। লেগুনা চালকদের বেশিরভাগই অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ও অদক্ষ। এ লেগুনা গুলোর ফিটনেস ও বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। যানবাহন মালিকরা ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী কে মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে ফিটনেস ও কাগজবিহীন যানবাহন রাস্তায় চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অল্প বয়স্ক ছেলেরা লেগুনা চালকের আসনে বসে আছে। তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, আমগো এইসব ড্রাইভিং লাইসেন্স আর গাড়ির কাগজ লাগে না। গাড়ির কাগজপত্রের ব্যাপারে মালিক জানে। এছাড়া লেগুনা গুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতেও দেখা যায়। লেগুনা সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে ইসিবি চত্ত্বর মহাসড়কে অবাধে চলতে দেখা গেছে লেগুনা । ফিটনেস বিহীন যানবাহন গুলোর বসার সিট গুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। কোন কোনটির সামনের অংশের মাত্রাতিরিক্ত মরিচা পড়ে ক্ষয় হয়ে গেছে। এসব যানবাহন গুলোর বেশিরভাগের হেড লাইটই অকেজো ও লুকিং গ্লাস নাই। তারপরও কিভাবে এসকল যানবাহন রাস্তায় চলাচল করতে পারছে ? এসকল প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। এসকল ফিটনেস বিহীন যানবাহনের কারণে ঘটছে দূঘর্টনা।
অদক্ষ চালকরা রাস্তায় চলাচলের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন। এ কারণে সড়কে দুর্ঘটনার হার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না।।শুধু ফিটনেসবিহীন যানবাহন নয়, লাখ লাখ যানবাহন চলছে প্রশিক্ষণবিহীন ভুয়া চালক দিয়ে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল যেমন বিপজ্জনক, তেমনই প্রশিক্ষণবিহীন ভুয়া ও অপ্রাপ্ত চালক দিয়ে ভালো গাড়িও কম বিপজ্জনক নয়।
আইনের প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা ও দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে রুট পারিমট, ফিটনেসবিহীন বন্ধ হবে। সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকলেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব এবং তাতে সড়কে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি চালু হবে বলেই প্রত্যাশা।