মোঃ রেজাউল করিম,
ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর,ময়মনসিংহ:
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী রোববার। এবার দেশের বিভিন্ন আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙ্গল মার্কায় প্রার্থী হয়েছেন দলটির ২৬৫ প্রার্থী। কিন্তু! ভোটগ্রহণের ক্ষণ-গণনা যখন চলে আসছে!, তখন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দলটির বেশ কয়েকজন জাপা নেতারা।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে,তবে সাধারণ আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা এলেও আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া ২৬টি আসনে দলটির কেউ মাঠ ছাড়েননি।
গতকাল বুধবার পর্যন্ত লাঙ্গলের ৭৬ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি।
তবে কারণ হিসেবে দলের মহাসচিবকে তারা জানিয়েছেন,আর্থিক সক্ষমতা না থাকা ও প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিরও কথা। তবে এসব প্রার্থী প্রচারে বিরত থাকলেও ব্যালটে বহাল থাকবে তাদের নাম,বলে এমনটি জানিয়েছেন তারা।
জাপা দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলছেন, অনেকেই দলের কাছে আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কথা জানাচ্ছেন। তবে সে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই সরে দাঁড়াচ্ছেন এমনটি বলছেন তারা।
পার্টির মহাসচিব বলেন,‘যারা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে,তাদের উদ্দেশে একটা কথা বলব, নির্বাচনে পাস–ফেল তো আছে-ই। নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জিং গেম। যারা আমাদের দলের প্রার্থীরা আসছে,তাদের তো আমরা আর্থিকভাবে ব্যাকআপ করব বা সহযোগিতায় এমন আশ্বাস দেওয়া দিইনি। তবে দিতে পারলে ভালো হতো,বলে এমনটি-ই তিনি বলেন।
তবে,ভিন্ন কথা জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলছেন। দলকে বেকায়দায় ফেলতেই কেউ কেউ এই ভোট থেকে সরে যাচ্ছেন। সবাইকে ধৈর্য ধরে মাঠে থাকার আহ্বান জানান,জি এম কাদের।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন,‘এখন অনেকেই বিভিন্ন কারণে হয়ত অর্থনৈতিকভাবে কুলাতে পারছে না বা পরিবেশ ভালো মনে করছে না অথবা তাদের ওপর নানা হুমকি আসছে। যে কোনো কারণেই হোক তারা অনেকে সরে দাঁড়াতে চাচ্ছে।’
জিএম কাদের বলেন,‘যারা সরে দাঁড়াতে চাই তাদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু প্রত্যাহারের সময় কিছু কারণ বলে একেবারে টেলিভিশনের সামনে স্টেটমেন্ট দিয়ে যারা প্রত্যাহার করছে, আমি মনে করি এটা শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়ের পড়ে। এর মধ্যে কিছু কিছু উদ্দেশ্যমূলকও হতে পারে বলে, তিনি মনে করছেন।
দেশের নির্বাচনের বা রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে বাকি আসনগুলোর প্রার্থীরা নিজেদের অবহেলিত মনে করছেন বলেও জানাচ্ছেন দলটির কোনো কোনো নেতারা। কারণ হিসেবে বলছেন,অন্য আসন থেকে সরে দাঁড়ালেও আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া কোনো আসনের প্রার্থী ভোটের মাঠ ছাড়েননি বলে এমনটাই তারা জানাচ্ছেন।
এই দিকে,ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের ফুলকপি প্রতীকের” স্বতন্ত্র প্রার্থী ” মোর্শেদুজ্জামান সেলিম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার রাতে গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
স্বতন্ত্র-প্রার্থী’মোর্শেদুজ্জামান সেলিম তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।