এস এম নুরুল আমিন,
জেলা ক্রাইম রিপোর্টার,কুড়িগ্রাম:কুখ্যাত ডাকাত শফিকুল ইসলাম সাজু।সে কখনো হোটেল বয়ের কাজ করেন, কখনো ভ্যান চালান, কখনো বা মাছ ধরেন। এসবের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় করেন ডাকাতি। একা নয় ডাকাতি করেন সংঘবদ্ধ গ্রুপে।
গাজিপুর সদরের জেলারপাড় এক প্রবাসীর পরিবারে বাড়ির কক্ষের দরজা ভেঙ্গে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার স্ত্রী সন্তানকে বেধে ০৭/০৮ জন মিলে স্বর্নসহ মুল্যবান জিনিস লুট করে এই চক্রটি।
সেই ডাকাত দলের সদস্য শফিকুল ইসলাম সাজু। সে শুধু ডাকাতিই করে না, করে মাদক ব্যবসাও তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাও আছে।
উক্ত দলের একাধিক ডাকাত সদস্য ধরা পরলেও কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকেরছড়া এলাকায় আত্মগোপনে ছিলো সাজু।
গাজীপুরের পুলিশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ নিশ্চিত হয় তার অবস্থান।
শত ছলচাতুরির পরে ভূরুঙ্গামারী থানার একটি চৌকস পুলিশ টিম তাকে পাইকেরছড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করে এবং গাজীপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
উক্ত বিষয়ে গত ১৭ই জানুয়ারী বুধবার ২০২৪ইং গাজিপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানায় একটি ডাকাতির মামলা রুজু হয়।
কুড়িগ্রামের পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত ডাকাত ও মাদক কারবারি শফিকুল ইসলাম সাজু বিভিন্ন সময়ে গাজিপুরে একটি চক্রের সাথে ডাকাতি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে পুনরায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কখনো হোটেল বয় আবার কখনো জেলে সেজে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকত এবং তার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানায় পূর্বের ১টি মাদক মামলা রয়েছে।
নিরাপদ কুড়িগ্রামের লক্ষ্যে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে, আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।