খুলনা প্রতিনিধি:বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের পর পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে কারেন্ট পোকা আক্রমণে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়েছে। পোকায় আক্রান্ত ক্ষেতের ফসলের পরিচর্যা করা হচ্ছে। ক্ষেতের পাকা ধান, কুশি ও কাচ থোড় ধান গাছে কারেন্ট পোকা আক্রমণ ও ঘূর্ণীঝড় মিধিলির ঝড়ো বাতাসে ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ত্রিমুখি দূর্যোগের কারনে বীজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা পুরণ না হওয়ার আশংখা করছে খামার কতৃপক্ষ।
খামার সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে খামারে ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ব্রিধান ৩০ জাতের ৩৪ একর,ব্রি ধান ৭৩ জাতের ৪ একর,ব্রিধান ৭৮ জাতের ৪ একর ও বি আর ২৩ জাতের ১৮একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।।
গত মাসে একটানা বৃষ্টি, বৈরি আবহাওয়ায় ও ঝড়ের তাণ্ডবে ধানের কুশি পর্যায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারপরও খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিলো। বর্তমানে ক্ষেতের পাকা ধান, কুশি ও কাচ থোড় ধান গাছে কারেন্ট পোকা আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে পাকা ব্রিধান ৩০ জাতের ৩৪ একর,ব্রি ধান ৭৩ জাতের ৪ একর ও বি আর-২৩ জাতের ১৮ একর ধান কুশি ও কাচ থোড় অবস্থায় কারেন্ট পোকা আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে মোট ৫৬ একর জমির ধানে কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত হয়েছে।ব্রিধান ৭৩ ও ব্রিধান ৩০ জাত পরিপক্ক অবস্থায় আছে। কর্তন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, তা অক্টোবরের শুরুতে থেমে থেমে বা একটানা হালকা ও ভারি বৃষ্টি ৮ তারিখ পর্যন্ত গিয়ে থামে।তখন সারাদেশে প্রায় ১১ দিনযাবত বৃষ্টি ছিলো। একটানা ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে চলতি মৌসুমে ৭ একর আমন ক্ষেতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পরও কীটনাশক স্প্রে করা ফসল ভালো হয়েছিলো।তবে নিয়মিত স্প্রে করলেও বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ায় কারেন্ট পোকা নিধন করা সম্ভাব হয়নি।তবে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের পরিচর্যা করা হচ্ছে।আমন মৌসুমে ত্রিমুখি দূর্যোগের কারনে বীজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা পুরণ না হওয়ার আশংখা করছেন তিনি।