রেজাউল করিম,ময়মনসিংহ:এবারো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ৯টি প্রশিক্ষণকেন্দ্র এখনো আছে। এর মধ্যে সাভারে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) ১ হাজার ২০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন তৈরিসহ সক্ষমতা বাড়ানোর কাজও চলমান রয়েছে। আবার এরই মধ্যে কেরানীগঞ্জে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র করার প্রকল্প নিচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নতুন এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রের নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিসিএস প্রশাসন একাডেমি’। এটি প্রতিষ্ঠায় একটি প্রকল্প প্রস্তাব গত মার্চ মাসে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কমিশন প্রকল্প প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে।
এর আগে ২০২১ সালে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ-সংলগ্ন ৭০০ একর জমি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে। বন বিভাগের হিসাবে ওই জমির বাজারমূল্য প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। রক্ষিত বনের জমি প্রশিক্ষণকেন্দ্র করতে বরাদ্দ দেওয়ায় তখন বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। তবে জমিটির বরাদ্দ এখনো বাতিল হয়নি বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বর্তমানে ৯টি প্রশিক্ষণকেন্দ্র থাকা এবং একটির সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়ানোর পরও নতুন প্রশিক্ষণকেন্দ্র কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের বর্তমান আর্থিক সংকটের মধ্যে এ ধরনের প্রকল্প নেওয়ার যৌক্তিকতা আছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ জনসাধারণ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষণকেন্দ্র করতে এমন সময় প্রকল্প নিচ্ছে, যখন সরকার আর্থিক সংকটে রয়েছে। বিদ্যুৎ, সারসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ছাড় করা যাচ্ছে না। রাজস্ব আয় বাড়াতে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। বিভিন্ন খাতে করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারকে আগামী ২০২৪-২৫ইং অর্থবছরের বাজেট ছোট রাখার পরামর্শ দিয়েছে তারা।