Add more content here...
Dhaka ০৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
পুলিশ ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং ভ্রাম্যমান বিকাশ দোকানের সাথে কোলাহ সৃষ্টি টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর,ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত নিখোঁজ সংবাদ নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম বগুড়ায় হঠাৎ করেই কালেক্টরেট পাবলিক স্কুলের ২২ শিক্ষার্থী অসুস্থ- স্কুল বন্ধ ঘোষণা আজ মধ্যরাত থেকে সাগরে ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা লালপুরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেল শোডাউনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই প্রার্থীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা বোচাগঞ্জে এক যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার আদিতমারীতে ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন এর শালমারায় বায়ার কোম্পানির ভুট্টা বীজ ৯২১৭এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৮ Time View

এস,কে কৃষ্ণা,ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকা থেকে ‘সামুদ্রিক সম্পদ’ আহরণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা যে সামুদ্রিক এলাকাগুলো অর্জন করেছি, সেখান থেকে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ব্লু ইকোনমির ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমাদের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ আইন প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক থাকবো এবং আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ‘‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’’ অনুসরণ করে সমুদ্রপথে ব্যবসা ও বাণিজ্য চালিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ ২০১২ এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি করেছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই ক্রমধারা বজায় থাকবে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমুদ্র বিজয় করে এবং আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সমুদ্রে যে সম্ভাবনাময় সুবিশাল একটি অর্থনৈতিক এলাকা পেলাম, তা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে। কাজেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতা এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ জাতীয় উন্নয়নের সূচকে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আজকের এই দিনে যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সেমিনার সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর মূলনীতি দেশের সমুদ্রকেন্দ্রিক সব সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বঙ্গোপসাগর ভারত মহাসাগরের একটা অংশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চল দিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান। ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দেশ, বাংলাদেশ এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ- একটা কথা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে এই অঞ্চলটা কিন্তু খুব নিরাপদ। এখানে কারও সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই এবং সেই প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এ অঞ্চলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ। এই সামুদ্রিক পথ আমাদের সব দেশ সমানভাবে ব্যবহার করছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে। কোনও দ্বন্দ্ব এই অঞ্চলে তৈরি হয়নি।’

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা সবসময় এটাই চাইবো যে আমাদের এই অঞ্চলকে ঘিরে যে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে, সেটা যেন কখনও সংঘাতপূর্ণ না হয় বা এখানে কোনও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না হয়। এটা যেভাবে শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ হিসেবে চলমান রয়েছে সেভাবেই যেন সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অঞ্চল যেটুকু আমরা অর্জন করেছি সেখানে সমুদ্র সম্পদ আহরণ করা এবং আমাদের অর্থনীতিতে অর্থাৎ যে ‘ব্লু ইকোনমি’ আমরা ঘোষণা দিয়েছি সেখানে তা অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ইতোমধ্যে আমরা একটি ইনস্টিটিউশনও তৈরি করেছি গবেষণার জন্য। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। কাজেই ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, এবং কারও সঙ্গে যে বৈরিতা নয়’, এই নীতিই আমরা মেনে চলবো। এই পররাষ্ট্রনীতি ধারণ করেই সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমাদের সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেন সবসময় চলমান থাকে সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সজাগ থাকবো।

‘বাংলাদেশ সবসময় শান্তিতে বিশ্বাসী’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। শান্তি উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ দেখায় এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। আমরা কখনও যুদ্ধে জড়াবো না। কিন্তু সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’

তিনি বলেন, আমরা ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। কাজেই এই সময়ে এই আইনটি তাৎপর্য বিশেষভাবে উপলব্ধি করার সময় এসেছে।

পরে অনুষ্ঠানস্থলে মেরিটাইম স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন বার্ষিকীর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

পুলিশ ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং ভ্রাম্যমান বিকাশ দোকানের সাথে কোলাহ সৃষ্টি

x

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Update Time : ০৯:০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

এস,কে কৃষ্ণা,ঢাকা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকা থেকে ‘সামুদ্রিক সম্পদ’ আহরণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা যে সামুদ্রিক এলাকাগুলো অর্জন করেছি, সেখান থেকে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ব্লু ইকোনমির ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমাদের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ আইন প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে আমরা সতর্ক থাকবো এবং আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ‘‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’’ অনুসরণ করে সমুদ্রপথে ব্যবসা ও বাণিজ্য চালিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ ২০১২ এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি করেছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই ক্রমধারা বজায় থাকবে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমুদ্র বিজয় করে এবং আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সমুদ্রে যে সম্ভাবনাময় সুবিশাল একটি অর্থনৈতিক এলাকা পেলাম, তা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে। কাজেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতা এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ জাতীয় উন্নয়নের সূচকে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আজকের এই দিনে যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সেমিনার সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর মূলনীতি দেশের সমুদ্রকেন্দ্রিক সব সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বঙ্গোপসাগর ভারত মহাসাগরের একটা অংশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চল দিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান। ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দেশ, বাংলাদেশ এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ- একটা কথা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে এই অঞ্চলটা কিন্তু খুব নিরাপদ। এখানে কারও সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই এবং সেই প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এ অঞ্চলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ। এই সামুদ্রিক পথ আমাদের সব দেশ সমানভাবে ব্যবহার করছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে। কোনও দ্বন্দ্ব এই অঞ্চলে তৈরি হয়নি।’

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা সবসময় এটাই চাইবো যে আমাদের এই অঞ্চলকে ঘিরে যে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে, সেটা যেন কখনও সংঘাতপূর্ণ না হয় বা এখানে কোনও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না হয়। এটা যেভাবে শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ হিসেবে চলমান রয়েছে সেভাবেই যেন সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অঞ্চল যেটুকু আমরা অর্জন করেছি সেখানে সমুদ্র সম্পদ আহরণ করা এবং আমাদের অর্থনীতিতে অর্থাৎ যে ‘ব্লু ইকোনমি’ আমরা ঘোষণা দিয়েছি সেখানে তা অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ইতোমধ্যে আমরা একটি ইনস্টিটিউশনও তৈরি করেছি গবেষণার জন্য। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। কাজেই ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, এবং কারও সঙ্গে যে বৈরিতা নয়’, এই নীতিই আমরা মেনে চলবো। এই পররাষ্ট্রনীতি ধারণ করেই সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমাদের সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেন সবসময় চলমান থাকে সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সজাগ থাকবো।

‘বাংলাদেশ সবসময় শান্তিতে বিশ্বাসী’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। শান্তি উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ দেখায় এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। আমরা কখনও যুদ্ধে জড়াবো না। কিন্তু সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’

তিনি বলেন, আমরা ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। কাজেই এই সময়ে এই আইনটি তাৎপর্য বিশেষভাবে উপলব্ধি করার সময় এসেছে।

পরে অনুষ্ঠানস্থলে মেরিটাইম স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন বার্ষিকীর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।