Add more content here...
Dhaka ০৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
পুলিশ ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং ভ্রাম্যমান বিকাশ দোকানের সাথে কোলাহ সৃষ্টি টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর,ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত নিখোঁজ সংবাদ নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম বগুড়ায় হঠাৎ করেই কালেক্টরেট পাবলিক স্কুলের ২২ শিক্ষার্থী অসুস্থ- স্কুল বন্ধ ঘোষণা আজ মধ্যরাত থেকে সাগরে ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা লালপুরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেল শোডাউনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই প্রার্থীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা বোচাগঞ্জে এক যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার আদিতমারীতে ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন এর শালমারায় বায়ার কোম্পানির ভুট্টা বীজ ৯২১৭এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

ঝিনাইদহে রবরব ধ্বনি-এমপি হবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২৫০ Time View

নয়ন অধিকারী,ঝিনাইদহ:ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার অগ্রগতি উন্নয়ন কর্মকান্ডে দারুণভাবে সন্তুষ্ট পৌরবাসির জনগণ। জাহেদী ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এবং পৌরসভার অর্থায়নে এক বছর পূর্তিতে আগেই রাস্তাঘাট আধুনিকায়ন অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর এতেই বেরিয়ে এসেছে জাহেদী ফাউন্ডেশন তথা পৌরসভার মেয়রের প্রতি পৌরসভার জনগণের গভীর আস্থার বিষয়টি।
জাহেদী ফাউন্ডেশন প্রতি সমর্থন এরই মধ্যে অনেক বেড়েছে। তবে দেখা গেছে, জাহেদী ফাউন্ডেশন ও পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহারিয়ার জাহেদী হিজল এর জনপ্রিয়তা বাড়লেও পৌরসভার চিহ্নিত কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ঝিনাইদহ পৌরসভার সাধারন মানুষের। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকেই পৌরসভার উন্নয়নে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পৌরবাসি। সচেতন পৌরবাসি মনে করেন,দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে পৌরবাসির জীবনে। সেদিকে নজর রাখতে হবে পৌরমেয়রকে।
জাহেদী ফাউন্ডেশনকে পৌরবাসির মনে যেন এক আলাদা জায়গা ধরে রেখেছে এই উন্নয়ন অগ্রগতিকে। জাহেদী ফাউন্ডেশনের উন্নয়ন-অগ্রগতির খ্যাতি যেমন ছড়িয়ে পড়েছে ঝিনাইদহ জেলাসহ সারা দেশ জুড়ে ঠিক তেমনই বর্তমান পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহারিয়ার জাহেদী হিজলের জনপ্রিয়তাও বর্তমানে তুঙ্গে। দীর্ঘ বছর ধরে জাহেদী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক “নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের” নির্দেশনায় প্রতি বছর দুইবার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে অস্বচ্ছল ৫০/৬০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে মানবতার সেবায় কাজ করে অসহায় মানুষের মাঝে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাহেদী ফাউন্ডেশন।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও মানবতার সেবায় ” জাহেদী ফাউন্ডেশন ” এর কর্মযজ্ঞ বর্তমানে ঝিনাইদহবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সকল ক্ষেত্রেই এই সংস্থাটির কার্যক্রম সকলের নজর কেড়েছে। মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অকৃপণ সাহায্য সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জাহেদী ফাউন্ডেশন।
ঝিনাইদহের আলোকিত পরিবার জাহেদী পরিবারের পরিচালনায় জাহেদী ফাউন্ডেশন এগিয়ে চলেছে ঝিনাইদহের উন্নয়ন, শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির বিকাশ ও মানব সেবার সুমহান চেতনাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে।
ঝিনাইদহের একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতানুরাগী, শিক্ষানুরাগী আলোকিত মানুষ মরহুম জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন চেয়ারম্যান ছিলেন। জাহিদ হোসেন নারিকেল বাড়িয়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা এম এ লতিফ নারিকেলবাড়িয়ার জমিদার হিসেবেই সমধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন। জাহিদ হোসেন মুসা ছিলেন তাঁর বাবার একমাত্র সন্তান।
মুসা মিয়া ৭ সন্তানের জনক। সকলেই শিক্ষা দীক্ষা আচার আচরণে তার বাবার আদর্শকে ধারণ করেন। বয়সের ক্রম অনুসারপ সন্তানদের নাম উল্লেখ করা হলোঃ প্রথম সন্তান হলেন মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল,দ্বিতীয় মরহুম হাসান শাহরিয়ার জাহেদী রাহুল,তৃতীয়
মোঃ আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল,চতুর্থ বর্তমান পৌরপিতা মোঃ কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, পঞ্চম মোঃ কবির শাহরিয়ার জাহেদী সজল,ষষ্টতম মোঃ সাঈফ শাহরিয়ার জাহেদী উজ্জ্বল এবং সপ্তম এম এ লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী প্রজ্জ্বল। সাত ভায়ের একমাত্র বোন জাবিন জাহিদা নাহারীন নুপুর। উপরোল্লিখিত তালিকা দেখে হয়তো পাঠকের অনেকেরই মনে পড়ে যাবে কালজয়ী সেই গানের কথা “সাত ভাই চম্পা জগোরে…একটি পারুল বোন ডাকে তোমায়”।
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের নেতৃত্বে ভায়েরা সকলেই এখন জাগ্রত, স্বপ্ন পুরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। জাহেদী ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে একের পর এক স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন জাহেদী পরিবার। প্রতি বছর রোজার ঈদে প্রায় ৪০ হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ। কোরবানির ঈদেও সম পরিমাণ পরিবারের মাঝে কোরবানীর মাংস বিতরণ, দুই শতাধিক দরিদ্র ছাত্রকে মাসিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান সহ অসংখ্য মানুষকে চিকিৎসা সাহাযা প্রদান করে আসছে জাহেদী ফাউন্ডেশন। এই সংস্থার কর্মকান্ডের একটি জাহেদী ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ড সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ একনজরে জাহেদী ফাউন্ডেশনের সামাজিক কর্মকান্ডের বিবরণঃ
১) অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয় যার পরিমান ২৩২ জন। ২) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল, কালীগঞ্জ হাসপাতাল ও কোটচাঁদপুর হাসপাতালে রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৩৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, যাদের মাসিক বেতন জাহেদী ফাউন্ডেশন থেকে দেওয়া হয়।
৩) করোনাকালীন সময়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে উন্নতমানের ৩ টি হাইফ্রো ন্যাজেল, ক্যানোলা মেশিন ১ টি,লাইফ সাপোর্ট ভেন্টিলেশন মেশিন, ৩০০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সেট, ১ টি পিকআপ টাটা গাড়ি, পিপি মাস্ক এবং মেডিসিন প্রদান করা হয়। ইন্টারকম টেলিফোন ব্যবস্থা করা হয়।
৪) জাহেদী ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ছোট বড় ৮ টি মসজিদে পুর্ণাঙ্গ ও আংশিক নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ২ টি মসজিদের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর ৩০ টির ও অধিক মসজিদ ও মাদ্রাসায় এককালীন সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
৫) জাহেদী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ইদুল ফিতরে আনুমানিক ৩০ হাজার দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও ঈদুল আযহায় আনুমানিক ১৬ হাজার দুস্থ পরিবারকে কোরবানির গোসত বিতরণ করা হয়। ৬) শীতকালে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
৭) জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে মিনি ইকো পার্ক নির্মাণ করেছে জাহেদী ফাউন্ডেশন।
৮) নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজে ৩ তলা বিশিষ্ট মুসামিয়া একাডেমিক ভবন নির্মাণ, যশোর কালেক্টরেট স্কুলে ৬ তলা বিশিষ্ট জাহানারা হুদা একাডেমিক ভবন নির্মাণ,যশোর বাঘারপাড়া মহিলা কলেজে( ৪ তলা) বিশিষ্ট সামছুল হুদা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজে জাহেদী ফাউন্ডেশন একাডেমিক ভবন নির্মাণ, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ নাহিদা জাহেদী ল্যাবরটরি ভবন নির্মাণ, এবং ঝিনাইদহ চেম্বার অফ কমার্সে “রাহুল স্মৃতি” অডিটরিয়াম নির্মাণ। ৯) ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে স্যলুটিং ডায়াস ও বৈঠকখানা ঘর নির্মাণ।
১০) প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা বিকাশের জন্য মুসামিয়া বুদ্ধিবিকাশ বিদ্যালয়।নির্মাণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ ওৌরসভা স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ১ টি স্কুলবাস প্রদান করা হয়েছে।
১১) ঝিনাইদহে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বিস্তারের লক্ষ্যে ভাষাসৈনিক মুসামিয়া আইসিটি ইনকিউবেটর এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।
১২)ডায়াবেটিস রোগীদের উন্নত সেবা দেবার লক্ষ্যে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে মুসামিয়া ডায়াবেটিক সেন্টার।
১৩) আন্তর্জাতিক মানসম্মত ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে যশোরে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে শেখ শামছুল হুদা ফুটবল একাডেমি।
১৪) কক্সবাজার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য( রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের) পক্ষ থেকে নির্মাণ করা আবাসস্থান ও দৈনন্দিন খাবারের ব্যবস্থা।
১৫) এছাড়াও প্রতিমাসে এতিম, বিধবা, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা এবং সামর্থ্যহীন অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে মাসিক সাহায্য প্রদান ও এককালীন সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
জাহেদী ফাউন্ডেশন এর বর্তমান নির্বাহী পরিচালক নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল এর সাথে বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব হাফিজ ফারুকের আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মহুলের স্বপ্নের কথা জানা গেছে। শিক্ষা প্রসারে তার মহাপরিকল্পনার কথা। অনতিবিলম্বে তিনি ঝিনাইদহে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। কলেজিয়েট স্কুল ( পরবর্তীতে এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে) বালিকা বিদ্যালয় ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এছাড়াও গড়ে তুলবে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ বেসরকারি হাসপাতাল যা পর্যায়ক্রমে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হবে।
এছাড়াও জাহেদী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কুল “মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয় ” পরিচালনা করে আসছে অনেকদিন আগে থেকেই।
এছাড়াও ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু ও কালীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন স্কুলে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানালেন তিনি। কিছুদিন আগে ঝিনাইদহ পৌর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ৫ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেন।
জাহেদী ফাউন্ডেশন এর অন্যতম পরিচালক কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল সম্প্রতি বিপুল ভোটে ঝিনাইদহ পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঝিনাইদহ শহরকে দৃষ্টিনন্দন “তিলোত্তমা নগরী “গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন।
ঝিনাইদহে জাহেদী ফাউন্ডেশন একটি বাতিঘর হিসেবে আলোকিত ঝিনাইদহ গড়ার কাজ করে চলেছেন।সেকারণেই পৌরবাসির সকলের প্রত্যাশার ঠিকানা জাহেদী ফাউন্ডেশন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

পুলিশ ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং ভ্রাম্যমান বিকাশ দোকানের সাথে কোলাহ সৃষ্টি

x

ঝিনাইদহে রবরব ধ্বনি-এমপি হবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল

Update Time : ০৪:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

নয়ন অধিকারী,ঝিনাইদহ:ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার অগ্রগতি উন্নয়ন কর্মকান্ডে দারুণভাবে সন্তুষ্ট পৌরবাসির জনগণ। জাহেদী ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এবং পৌরসভার অর্থায়নে এক বছর পূর্তিতে আগেই রাস্তাঘাট আধুনিকায়ন অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর এতেই বেরিয়ে এসেছে জাহেদী ফাউন্ডেশন তথা পৌরসভার মেয়রের প্রতি পৌরসভার জনগণের গভীর আস্থার বিষয়টি।
জাহেদী ফাউন্ডেশন প্রতি সমর্থন এরই মধ্যে অনেক বেড়েছে। তবে দেখা গেছে, জাহেদী ফাউন্ডেশন ও পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহারিয়ার জাহেদী হিজল এর জনপ্রিয়তা বাড়লেও পৌরসভার চিহ্নিত কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ঝিনাইদহ পৌরসভার সাধারন মানুষের। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকেই পৌরসভার উন্নয়নে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পৌরবাসি। সচেতন পৌরবাসি মনে করেন,দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে পৌরবাসির জীবনে। সেদিকে নজর রাখতে হবে পৌরমেয়রকে।
জাহেদী ফাউন্ডেশনকে পৌরবাসির মনে যেন এক আলাদা জায়গা ধরে রেখেছে এই উন্নয়ন অগ্রগতিকে। জাহেদী ফাউন্ডেশনের উন্নয়ন-অগ্রগতির খ্যাতি যেমন ছড়িয়ে পড়েছে ঝিনাইদহ জেলাসহ সারা দেশ জুড়ে ঠিক তেমনই বর্তমান পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহারিয়ার জাহেদী হিজলের জনপ্রিয়তাও বর্তমানে তুঙ্গে। দীর্ঘ বছর ধরে জাহেদী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক “নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের” নির্দেশনায় প্রতি বছর দুইবার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে অস্বচ্ছল ৫০/৬০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে মানবতার সেবায় কাজ করে অসহায় মানুষের মাঝে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাহেদী ফাউন্ডেশন।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও মানবতার সেবায় ” জাহেদী ফাউন্ডেশন ” এর কর্মযজ্ঞ বর্তমানে ঝিনাইদহবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সকল ক্ষেত্রেই এই সংস্থাটির কার্যক্রম সকলের নজর কেড়েছে। মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অকৃপণ সাহায্য সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জাহেদী ফাউন্ডেশন।
ঝিনাইদহের আলোকিত পরিবার জাহেদী পরিবারের পরিচালনায় জাহেদী ফাউন্ডেশন এগিয়ে চলেছে ঝিনাইদহের উন্নয়ন, শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির বিকাশ ও মানব সেবার সুমহান চেতনাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে।
ঝিনাইদহের একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতানুরাগী, শিক্ষানুরাগী আলোকিত মানুষ মরহুম জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন চেয়ারম্যান ছিলেন। জাহিদ হোসেন নারিকেল বাড়িয়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা এম এ লতিফ নারিকেলবাড়িয়ার জমিদার হিসেবেই সমধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন। জাহিদ হোসেন মুসা ছিলেন তাঁর বাবার একমাত্র সন্তান।
মুসা মিয়া ৭ সন্তানের জনক। সকলেই শিক্ষা দীক্ষা আচার আচরণে তার বাবার আদর্শকে ধারণ করেন। বয়সের ক্রম অনুসারপ সন্তানদের নাম উল্লেখ করা হলোঃ প্রথম সন্তান হলেন মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল,দ্বিতীয় মরহুম হাসান শাহরিয়ার জাহেদী রাহুল,তৃতীয়
মোঃ আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল,চতুর্থ বর্তমান পৌরপিতা মোঃ কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, পঞ্চম মোঃ কবির শাহরিয়ার জাহেদী সজল,ষষ্টতম মোঃ সাঈফ শাহরিয়ার জাহেদী উজ্জ্বল এবং সপ্তম এম এ লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী প্রজ্জ্বল। সাত ভায়ের একমাত্র বোন জাবিন জাহিদা নাহারীন নুপুর। উপরোল্লিখিত তালিকা দেখে হয়তো পাঠকের অনেকেরই মনে পড়ে যাবে কালজয়ী সেই গানের কথা “সাত ভাই চম্পা জগোরে…একটি পারুল বোন ডাকে তোমায়”।
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের নেতৃত্বে ভায়েরা সকলেই এখন জাগ্রত, স্বপ্ন পুরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। জাহেদী ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে একের পর এক স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন জাহেদী পরিবার। প্রতি বছর রোজার ঈদে প্রায় ৪০ হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ। কোরবানির ঈদেও সম পরিমাণ পরিবারের মাঝে কোরবানীর মাংস বিতরণ, দুই শতাধিক দরিদ্র ছাত্রকে মাসিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান সহ অসংখ্য মানুষকে চিকিৎসা সাহাযা প্রদান করে আসছে জাহেদী ফাউন্ডেশন। এই সংস্থার কর্মকান্ডের একটি জাহেদী ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ড সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ একনজরে জাহেদী ফাউন্ডেশনের সামাজিক কর্মকান্ডের বিবরণঃ
১) অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয় যার পরিমান ২৩২ জন। ২) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল, কালীগঞ্জ হাসপাতাল ও কোটচাঁদপুর হাসপাতালে রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৩৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, যাদের মাসিক বেতন জাহেদী ফাউন্ডেশন থেকে দেওয়া হয়।
৩) করোনাকালীন সময়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে উন্নতমানের ৩ টি হাইফ্রো ন্যাজেল, ক্যানোলা মেশিন ১ টি,লাইফ সাপোর্ট ভেন্টিলেশন মেশিন, ৩০০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সেট, ১ টি পিকআপ টাটা গাড়ি, পিপি মাস্ক এবং মেডিসিন প্রদান করা হয়। ইন্টারকম টেলিফোন ব্যবস্থা করা হয়।
৪) জাহেদী ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ছোট বড় ৮ টি মসজিদে পুর্ণাঙ্গ ও আংশিক নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ২ টি মসজিদের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর ৩০ টির ও অধিক মসজিদ ও মাদ্রাসায় এককালীন সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
৫) জাহেদী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ইদুল ফিতরে আনুমানিক ৩০ হাজার দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও ঈদুল আযহায় আনুমানিক ১৬ হাজার দুস্থ পরিবারকে কোরবানির গোসত বিতরণ করা হয়। ৬) শীতকালে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
৭) জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে মিনি ইকো পার্ক নির্মাণ করেছে জাহেদী ফাউন্ডেশন।
৮) নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজে ৩ তলা বিশিষ্ট মুসামিয়া একাডেমিক ভবন নির্মাণ, যশোর কালেক্টরেট স্কুলে ৬ তলা বিশিষ্ট জাহানারা হুদা একাডেমিক ভবন নির্মাণ,যশোর বাঘারপাড়া মহিলা কলেজে( ৪ তলা) বিশিষ্ট সামছুল হুদা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজে জাহেদী ফাউন্ডেশন একাডেমিক ভবন নির্মাণ, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ নাহিদা জাহেদী ল্যাবরটরি ভবন নির্মাণ, এবং ঝিনাইদহ চেম্বার অফ কমার্সে “রাহুল স্মৃতি” অডিটরিয়াম নির্মাণ। ৯) ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে স্যলুটিং ডায়াস ও বৈঠকখানা ঘর নির্মাণ।
১০) প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা বিকাশের জন্য মুসামিয়া বুদ্ধিবিকাশ বিদ্যালয়।নির্মাণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ ওৌরসভা স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ১ টি স্কুলবাস প্রদান করা হয়েছে।
১১) ঝিনাইদহে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বিস্তারের লক্ষ্যে ভাষাসৈনিক মুসামিয়া আইসিটি ইনকিউবেটর এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।
১২)ডায়াবেটিস রোগীদের উন্নত সেবা দেবার লক্ষ্যে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে মুসামিয়া ডায়াবেটিক সেন্টার।
১৩) আন্তর্জাতিক মানসম্মত ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে যশোরে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে শেখ শামছুল হুদা ফুটবল একাডেমি।
১৪) কক্সবাজার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য( রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের) পক্ষ থেকে নির্মাণ করা আবাসস্থান ও দৈনন্দিন খাবারের ব্যবস্থা।
১৫) এছাড়াও প্রতিমাসে এতিম, বিধবা, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা এবং সামর্থ্যহীন অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে মাসিক সাহায্য প্রদান ও এককালীন সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
জাহেদী ফাউন্ডেশন এর বর্তমান নির্বাহী পরিচালক নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল এর সাথে বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব হাফিজ ফারুকের আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মহুলের স্বপ্নের কথা জানা গেছে। শিক্ষা প্রসারে তার মহাপরিকল্পনার কথা। অনতিবিলম্বে তিনি ঝিনাইদহে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। কলেজিয়েট স্কুল ( পরবর্তীতে এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে) বালিকা বিদ্যালয় ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এছাড়াও গড়ে তুলবে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ বেসরকারি হাসপাতাল যা পর্যায়ক্রমে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হবে।
এছাড়াও জাহেদী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কুল “মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয় ” পরিচালনা করে আসছে অনেকদিন আগে থেকেই।
এছাড়াও ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু ও কালীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন স্কুলে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানালেন তিনি। কিছুদিন আগে ঝিনাইদহ পৌর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ৫ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেন।
জাহেদী ফাউন্ডেশন এর অন্যতম পরিচালক কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল সম্প্রতি বিপুল ভোটে ঝিনাইদহ পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঝিনাইদহ শহরকে দৃষ্টিনন্দন “তিলোত্তমা নগরী “গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন।
ঝিনাইদহে জাহেদী ফাউন্ডেশন একটি বাতিঘর হিসেবে আলোকিত ঝিনাইদহ গড়ার কাজ করে চলেছেন।সেকারণেই পৌরবাসির সকলের প্রত্যাশার ঠিকানা জাহেদী ফাউন্ডেশন।