Add more content here...
Dhaka ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
পুলিশ ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং ভ্রাম্যমান বিকাশ দোকানের সাথে কোলাহ সৃষ্টি টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর,ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত নিখোঁজ সংবাদ নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম বগুড়ায় হঠাৎ করেই কালেক্টরেট পাবলিক স্কুলের ২২ শিক্ষার্থী অসুস্থ- স্কুল বন্ধ ঘোষণা আজ মধ্যরাত থেকে সাগরে ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা লালপুরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেল শোডাউনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই প্রার্থীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা বোচাগঞ্জে এক যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার আদিতমারীতে ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন এর শালমারায় বায়ার কোম্পানির ভুট্টা বীজ ৯২১৭এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

কৃষকের মুখে  জয়ের হাসি কার্তিকের ধানে

মোঃ সাদেকুল ইসলাম,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
ভারি বর্ষন দফায় দফায় বন্যা আর কালবৈশাখী ঝর সহ না-না প্রতিকুল পরিবেশ পেড়িয়ে লালমনিরহাটে সল্প মেয়াদী আগাম জাতের চাষ করা  ধান ঘড়ে তুলতে পাড়ায় মহা খুশি প্রান্তিক চাষি আর কৃষকেরা।ধানের ভাল ফলন আর কাংখিত বাজারদর পেয়ে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী এই অঞ্চলের কৃষকেরা।
চাল সহ সব ধরনের দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধিতে যখন নীম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে ঠিক তখনেই কার্তিকের আগাম ধান কৃষকের মুখে মঙ্গা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
এসময় কার্তিকের মঙ্গায় লালমনিরহাটের ঘরে ঘরে হানা দিত মঙ্গার ভয়াল থাবা।কিন্তু কালের বিবর্তনে সব কিছুই পাল্টে গেছে।এখন আর অগ্রায়ন মাসের অপেক্ষা নয় আগাম জাতের ধান চাষ করে এ অঞ্চলের কৃষক আশ্বিন মাসের মঙ্গা জয় করতে শিখেছেন।চলতি মাসে জুড়ে লালমনিরহাটের বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।
কৃষকদের ধান কাটা ও মাড়াই এর কাজে সহযোগিতা করছেন কৃষক বধুরাও।কৃষকরা বলছেন আগাম আমন ধান চাষের কারনে মঙ্গা উধাও হয়ে গেছে।ধানের দাম ভাল থাকায় চাষিদের মনও বেশ উৎপুল্ল।
অন্যদিকে মজুরি বেশি থাকায় কৃষি শ্রমিকদের মাঝে এক ধরনের চাঙ্গা ভাঙ্গাভাব লক্ষ করা গেছে।ধান কাটা ও মাড়াই এর কাজে কৃষি শ্রমিক পাওয়াটাই যেন দুঃস্কর হয়ে পড়েছে।দিন হাজিরা সকালের নাস্তা ও দুপুরের একবেলা খাওয়া সহ সাড়ে তিনশো থেকে চার শত টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট  উদ্ভাবিত বি-৩৩ ও বাংলাদেশ আনুবিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত(বিনা-৭)আমনের আগে ফলন দিয়েছে। ব্রী-৩৩ ও বিনা -১৭ আমন ধানে খরচ খুব একটা বেশি নয়।বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা মিটিয়ে ১৬ থেকে ১৮ মন ধানের ফলন পাওয়া যায় জানালেন জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক মৃত ফুল মামুদ এর পুত্র আব্দুস ছাত্তার(৫০)।
এ অঞ্চলে সারাটা বছর কোন না কোন ধান আবাদ হচ্ছে।লালমনিরহাট জেলার জেলা সদর আদিতমারী কালীগন্গ হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় আগাম আমন ধান কাটা ও মাড়াই চলছে ধুমছে।কৃষকরা ধান ঘড়ে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে কৃষি বিভাগের লালমনিরহাট  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো হামিদুর রহমান জানান,আগাম আমন জাতের ধানের আবাদ ভাল হয়েছে।কৃষকেরা বর্তমান সময়ে তাদের মঙ্গা দুর করে তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন।
চলতি আমন মৌসুমে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলা লালমনিরহাট সদর আদিতমারী কালীগন্জ হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম মিলে মোট ৮৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ আর ২ লাখ ৬৪ হাজার ২৫২ মেঃটন উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

পুলিশ ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং ভ্রাম্যমান বিকাশ দোকানের সাথে কোলাহ সৃষ্টি

x

কৃষকের মুখে  জয়ের হাসি কার্তিকের ধানে

Update Time : ০৫:০০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

মোঃ সাদেকুল ইসলাম,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
ভারি বর্ষন দফায় দফায় বন্যা আর কালবৈশাখী ঝর সহ না-না প্রতিকুল পরিবেশ পেড়িয়ে লালমনিরহাটে সল্প মেয়াদী আগাম জাতের চাষ করা  ধান ঘড়ে তুলতে পাড়ায় মহা খুশি প্রান্তিক চাষি আর কৃষকেরা।ধানের ভাল ফলন আর কাংখিত বাজারদর পেয়ে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী এই অঞ্চলের কৃষকেরা।
চাল সহ সব ধরনের দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধিতে যখন নীম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে ঠিক তখনেই কার্তিকের আগাম ধান কৃষকের মুখে মঙ্গা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
এসময় কার্তিকের মঙ্গায় লালমনিরহাটের ঘরে ঘরে হানা দিত মঙ্গার ভয়াল থাবা।কিন্তু কালের বিবর্তনে সব কিছুই পাল্টে গেছে।এখন আর অগ্রায়ন মাসের অপেক্ষা নয় আগাম জাতের ধান চাষ করে এ অঞ্চলের কৃষক আশ্বিন মাসের মঙ্গা জয় করতে শিখেছেন।চলতি মাসে জুড়ে লালমনিরহাটের বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।
কৃষকদের ধান কাটা ও মাড়াই এর কাজে সহযোগিতা করছেন কৃষক বধুরাও।কৃষকরা বলছেন আগাম আমন ধান চাষের কারনে মঙ্গা উধাও হয়ে গেছে।ধানের দাম ভাল থাকায় চাষিদের মনও বেশ উৎপুল্ল।
অন্যদিকে মজুরি বেশি থাকায় কৃষি শ্রমিকদের মাঝে এক ধরনের চাঙ্গা ভাঙ্গাভাব লক্ষ করা গেছে।ধান কাটা ও মাড়াই এর কাজে কৃষি শ্রমিক পাওয়াটাই যেন দুঃস্কর হয়ে পড়েছে।দিন হাজিরা সকালের নাস্তা ও দুপুরের একবেলা খাওয়া সহ সাড়ে তিনশো থেকে চার শত টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট  উদ্ভাবিত বি-৩৩ ও বাংলাদেশ আনুবিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত(বিনা-৭)আমনের আগে ফলন দিয়েছে। ব্রী-৩৩ ও বিনা -১৭ আমন ধানে খরচ খুব একটা বেশি নয়।বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা মিটিয়ে ১৬ থেকে ১৮ মন ধানের ফলন পাওয়া যায় জানালেন জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের কৃষক মৃত ফুল মামুদ এর পুত্র আব্দুস ছাত্তার(৫০)।
এ অঞ্চলে সারাটা বছর কোন না কোন ধান আবাদ হচ্ছে।লালমনিরহাট জেলার জেলা সদর আদিতমারী কালীগন্গ হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় আগাম আমন ধান কাটা ও মাড়াই চলছে ধুমছে।কৃষকরা ধান ঘড়ে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে কৃষি বিভাগের লালমনিরহাট  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো হামিদুর রহমান জানান,আগাম আমন জাতের ধানের আবাদ ভাল হয়েছে।কৃষকেরা বর্তমান সময়ে তাদের মঙ্গা দুর করে তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন।
চলতি আমন মৌসুমে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলা লালমনিরহাট সদর আদিতমারী কালীগন্জ হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম মিলে মোট ৮৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ আর ২ লাখ ৬৪ হাজার ২৫২ মেঃটন উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল।