Add more content here...
Dhaka ০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর,ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত নিখোঁজ সংবাদ নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম বগুড়ায় হঠাৎ করেই কালেক্টরেট পাবলিক স্কুলের ২২ শিক্ষার্থী অসুস্থ- স্কুল বন্ধ ঘোষণা আজ মধ্যরাত থেকে সাগরে ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা লালপুরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেল শোডাউনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই প্রার্থীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা বোচাগঞ্জে এক যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার আদিতমারীতে ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন এর শালমারায় বায়ার কোম্পানির ভুট্টা বীজ ৯২১৭এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলায় হজ্ব প্রশিক্ষণ ২০২৪ অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

আজ পূর্ণিমা তিথিতে শ্রী শ্রী লক্ষী পূজা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯৪ Time View

শ্রী রতন কুমার রায়,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা: বাংলাদেশ সর্বত্রই শ্রী শ্রী লক্ষী পূজা আজ। কুড়িগ্রাম জেলার সকল মন্দির ও ঘরে ঘরে লক্ষী পুজা উদযাপন হবে। আশ্বিন মাসের শেষে পুর্ণিমা তিথিতে, লক্ষীপুজা আরাধনা করা হয়।আজই সেই দিন। পুর্ণিমার রাতে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবী লক্ষী।এই কারণে বলাহয় শরৎ পুর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষীপুজো সন্ধ্যার দিকে করা শুভ।বাংলার কৃষি সমাজের সঙ্গে সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষীপুজো। নারী পুরুষ উভয়ই এই পুজায় অংশ গ্রহণ করেন ।

পুজোর উপকরণ আর আচার,অনুষ্ঠানে তা স্পষ্ট।লক্ষীর পাঁচালি ছাড়া যেমন দেবীর পুজো হয় না।তেমনই পুজোর ফলমূলের সঙ্গে চিড়ে ও নারকেল প্রয়োজন,তা ছাড়া আলপনায় থাকতে হবে ঝাঁপির ছবি।লক্ষ্মীর পটচিত্রেও শস্যের ছবি থাকে। আশ্বিন পূর্ণিমা ছাড়াও শস্য সম্পদের দেবীকে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি এবং দীপাবলীতে পুজো করা হয়।


উল্লেখ্য, শরৎকালের লক্ষ্মীপুজো কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো নামে খ্যাত। এই পুজোয় রাত জাগার নিয়ম রয়েছে। ‘কঃ’ শব্দের অর্থ হল কে, আর ‘জাগর’ শব্দের অর্থ হল জেগে আছে। অর্থাৎ ‘”কে জেগে আছে'” মনে করা হয় যে, লক্ষ্মীপুজোর দিন রাত পর্যন্ত জাগলে সেই বাড়িতে লক্ষ্মীদেবী প্রবেশ করেন। যাঁরা তাঁকে রাত পর্যন্ত জেগে আরাধনা করেন, দেবী তাঁদের আশীর্বাদ করেন, মনে করা হয়। এদিন রাতে দেবী স্বর্গ থেকে নেমে আসেন। শাস্ত্র মতে লক্ষ্মীর আসার সময় যে বাড়ির গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে মুখ ফেরান দেবী।

কোজাগরী লক্ষ্মী পূজোয় ফলের বাজারে আগুন ক্রেতারা বিপাকে। আজ ২৮শে অক্টোবর শনিবার লক্ষ্মীপূজো প্রতি ঘরে ঘরে। এদিকে ক্রেতারা বাজারে প্রতিমা-থেকে শুরু করে ফল মূল কিনতে এসে বিপাকে পড়ছেন।

কারণ সমস্ত জিনিসের চড়া দাম। তবুও তারা লক্ষ্মীকে ঘরে আনার জন্য সামর্থ মত জিনিস কেনার চেষ্টা করছেন। ক্রেতারা জানান সমস্ত কিছুই পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু হাত দেওয়ার উপায় নাই,প্রতিমা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ফুল ও ফল এর দাম এতটাই চড়া যে আমাদের বাজেটে কুলাচ্ছে না। আপেল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, বেদানা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, ফুলের মালা পার পিস কুড়ি টাকা থেকে শুরু। নাশপাতি দেড়শ টাকা কেজি, ডাব ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পার পিস, প্রতিমা ৫০০ টাকা থেকে শুরু, আগের যে লক্ষী প্রতিমা আমরা কিনেছিলাম আড়াইশো টাকা সেই প্রতিমা বেড়ে হয়েছে 500 থেকে 600 টাকা, ফলে আমরা কিনতে এসে অনেকটাই বিপাকে পড়ছি। বাজারভিড় করে ক্রেতারা যেমন রয়েছে, তেমনি বিক্রেতারাও দাম সাজিয়ে বসে আছে, কিন্তু ক্রেতাদের কেনার সামর্থ্য সেই মতো নাই, কারণ দুর্গা পুজোর পরেই লক্ষ্মীপুজো এমনিতেই হাতে টান, তবুও লক্ষ্মীকে ঘরে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কোনোভাবে পুজোর সারার, তার উপর এতটাই চড়া দাম যেটুকু করার ইচ্ছে সেটাও করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে পুরোহিতেরাও পুজো করার জন্য দক্ষিণা অনেক চাইছেন সব মিলিয়ে আমাদের খুবই খারাপ হয়ে পড়ছে। মা লক্ষী আশীর্বাদ চাইছেন সকল সনাতনী ভক্তবৃন্দ । দেশের মঙ্গল হউক এই কামনা ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর,ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত

x

আজ পূর্ণিমা তিথিতে শ্রী শ্রী লক্ষী পূজা

Update Time : ১১:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

শ্রী রতন কুমার রায়,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা: বাংলাদেশ সর্বত্রই শ্রী শ্রী লক্ষী পূজা আজ। কুড়িগ্রাম জেলার সকল মন্দির ও ঘরে ঘরে লক্ষী পুজা উদযাপন হবে। আশ্বিন মাসের শেষে পুর্ণিমা তিথিতে, লক্ষীপুজা আরাধনা করা হয়।আজই সেই দিন। পুর্ণিমার রাতে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবী লক্ষী।এই কারণে বলাহয় শরৎ পুর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষীপুজো সন্ধ্যার দিকে করা শুভ।বাংলার কৃষি সমাজের সঙ্গে সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষীপুজো। নারী পুরুষ উভয়ই এই পুজায় অংশ গ্রহণ করেন ।

পুজোর উপকরণ আর আচার,অনুষ্ঠানে তা স্পষ্ট।লক্ষীর পাঁচালি ছাড়া যেমন দেবীর পুজো হয় না।তেমনই পুজোর ফলমূলের সঙ্গে চিড়ে ও নারকেল প্রয়োজন,তা ছাড়া আলপনায় থাকতে হবে ঝাঁপির ছবি।লক্ষ্মীর পটচিত্রেও শস্যের ছবি থাকে। আশ্বিন পূর্ণিমা ছাড়াও শস্য সম্পদের দেবীকে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি এবং দীপাবলীতে পুজো করা হয়।


উল্লেখ্য, শরৎকালের লক্ষ্মীপুজো কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো নামে খ্যাত। এই পুজোয় রাত জাগার নিয়ম রয়েছে। ‘কঃ’ শব্দের অর্থ হল কে, আর ‘জাগর’ শব্দের অর্থ হল জেগে আছে। অর্থাৎ ‘”কে জেগে আছে'” মনে করা হয় যে, লক্ষ্মীপুজোর দিন রাত পর্যন্ত জাগলে সেই বাড়িতে লক্ষ্মীদেবী প্রবেশ করেন। যাঁরা তাঁকে রাত পর্যন্ত জেগে আরাধনা করেন, দেবী তাঁদের আশীর্বাদ করেন, মনে করা হয়। এদিন রাতে দেবী স্বর্গ থেকে নেমে আসেন। শাস্ত্র মতে লক্ষ্মীর আসার সময় যে বাড়ির গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে মুখ ফেরান দেবী।

কোজাগরী লক্ষ্মী পূজোয় ফলের বাজারে আগুন ক্রেতারা বিপাকে। আজ ২৮শে অক্টোবর শনিবার লক্ষ্মীপূজো প্রতি ঘরে ঘরে। এদিকে ক্রেতারা বাজারে প্রতিমা-থেকে শুরু করে ফল মূল কিনতে এসে বিপাকে পড়ছেন।

কারণ সমস্ত জিনিসের চড়া দাম। তবুও তারা লক্ষ্মীকে ঘরে আনার জন্য সামর্থ মত জিনিস কেনার চেষ্টা করছেন। ক্রেতারা জানান সমস্ত কিছুই পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু হাত দেওয়ার উপায় নাই,প্রতিমা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ফুল ও ফল এর দাম এতটাই চড়া যে আমাদের বাজেটে কুলাচ্ছে না। আপেল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, বেদানা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, ফুলের মালা পার পিস কুড়ি টাকা থেকে শুরু। নাশপাতি দেড়শ টাকা কেজি, ডাব ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পার পিস, প্রতিমা ৫০০ টাকা থেকে শুরু, আগের যে লক্ষী প্রতিমা আমরা কিনেছিলাম আড়াইশো টাকা সেই প্রতিমা বেড়ে হয়েছে 500 থেকে 600 টাকা, ফলে আমরা কিনতে এসে অনেকটাই বিপাকে পড়ছি। বাজারভিড় করে ক্রেতারা যেমন রয়েছে, তেমনি বিক্রেতারাও দাম সাজিয়ে বসে আছে, কিন্তু ক্রেতাদের কেনার সামর্থ্য সেই মতো নাই, কারণ দুর্গা পুজোর পরেই লক্ষ্মীপুজো এমনিতেই হাতে টান, তবুও লক্ষ্মীকে ঘরে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কোনোভাবে পুজোর সারার, তার উপর এতটাই চড়া দাম যেটুকু করার ইচ্ছে সেটাও করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে পুরোহিতেরাও পুজো করার জন্য দক্ষিণা অনেক চাইছেন সব মিলিয়ে আমাদের খুবই খারাপ হয়ে পড়ছে। মা লক্ষী আশীর্বাদ চাইছেন সকল সনাতনী ভক্তবৃন্দ । দেশের মঙ্গল হউক এই কামনা ।