আরমান হোসেন খান,ধামরাই (ঢাকা):ধামরাইয়ের পাশেই সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ( জাবি )। প্রতিবছর শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে জাবি ক্যাম্পাসে শুরু হয় পরিযায়ী পাখির আনাগোনা। এবারও ব্যতিক্রম নয়, ক্যাম্পাসের লেক গুলোর আশেপাশে গেলেই অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে আকৃষ্ট হয় মন। লেক আর লেকের পাড় ঘেঁষা গাছের ডালে ডালে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে অসংখ্য পাখি। এসব পাখির কল-কাকলি আর জল-কেলিতে মুখরিত পুরো ক্যাম্পাস।
ঢাকার অদূরে অবস্থিত লাল মাটি আর সবুজে ঘেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৃতি একেক ঋতুতে একেক রুপে সাজে। তবে শীতকালে এখানকার প্রকৃতির ভিন্নরূপ দেখা যায়। একদিকে লেকগুলোতে শাপলা, পদ্ম আর তাদের বুকে ভিনদেশী পরিযায়ী পাখি। আর এগুলো দেখতে ক্যাম্পাসে ভিড় জমাচ্ছে হাজার হাজার দর্শনার্থী।
একটু উষ্ণতা, আদ্রতা ও শ্যামলিমার আশায় হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চলে আসে অতিথি পাখিরা।
বাংলাদেশে প্রায় ৬০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে, এর মধ্যে ২০০ প্রজাতির রয়েছে দেশান্তরী বা পরিযায়ী পাখি।
ইতিহাস বলে ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম অতিথি পাখি আসতে শুরু করে। সাধারণত হিমালয়, সাইবেরিয়া, আসাম, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ- পশ্চিম চীনের মালভূমি, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড, তিব্বতের উপত্যকা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে প্রতিবছর শীতের প্রকোপে পাখিরা এখানে আসে।
শীতে যেসব পাখি আমাদের দেশে অতিথি হয়ে আসে তাদের মধ্যে বালিহাঁস, চখাচখি, রাজহাঁস, মানিকজোড়, গাং কবুতর, নারুদ্দি,চিনা হাঁস, ভোলা পাখি, হরিয়াল, বনহুর,বুরলিহাস, সিরিয়া পাতিরা, পিয়াংচিনা, কবালি, যেনজি, প্রোভায়, নাইবাল, ডেলা ঘেনজি, গ্রাসওয়ার, গেন্ডাভার ও বারহেড অন্যতম।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় সব মিলিয়ে ২৬ টি লেক আছে। প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সূত্রে জানা যায়,শীতকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০৬ প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১২৬ প্রজাতির দেশিয়, আর বাকি ৮০ প্রজাতি বিদেশি।
সাধারণত সেপ্টেম্বর – অক্টোবর মাস থেকে পাখিরা ক্যাম্পাসের লেক গুলোতে আসতে শুরু করে। তবে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাখি দেখা যায়।
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- Reporter Name
- Update Time : ০৫:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
- ১৫২ Time View
Tag :
Popular Post