Add more content here...
Dhaka ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

ধামরাইয়ে বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষে সফল চাষীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৬:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • ২৯৯ Time View

আরমান হোসেন খান,
উপজেলা প্রতিনিধি,ধামরাই (ঢাকা):
ঢাকার ধামরাইয়ে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হওয়া উচ্চ ফলনশীল জাতের কুলে (বরই)লাভের আশা করছে কৃষকরা। কুলবাগান গুলো কাঁচা – পাকা কুলে থোকায় থোকায় ভরে গেছে। আপেল কুল,কাশ্মীরি কুল, নারকেলী কুল সহ বেশকিছু উন্নত জাতের কুল আবাদ করা হয়েছে। এসব উন্নত জাতের কুল গাছের চারা রোপণ করার ৭ থেকে ৮ মাসের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু হয় এবং রোগ বালাই কম হওয়ায় প্রতিটি গাছে ফলন অনেক ভালো হয়।

সরেজমিনে দেখা যায় – কুল বাগানে সারি সারি কুল গাছ। আকারে ছোটো বড়জোর ৪ থেকে ৫ ফুট কুল গাছ কুলের ভারে নুয়ে পড়ছে।
কুল চাষী মনিরুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে সাত বিঘা জমিতে উন্নত জাতের কাশ্মীরি জাতের ‘ বল সুন্দরী আপেল কুল ‘ চাষ করেছেন তিনি। এই কুল গাছে প্রথম বছরেই ফলন আসে আর তাতে বিঘা প্রতি ১০০ থেকে ১২০ মণ হারে ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। এ কুল বাগান রোপণ ও পরিচর্যায় তার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফা আশা করছেন।

পূর্ব বাসনা গ্রামের আরেক কুল চাষী আলী হোসেন বলেন,আমি ৩ বছর যাবত কুল চাষ করি। আপেল কুল, কাশ্মীরি ও নারকেল কুল এই ৩ জাতের কুল আবাদ করছি। এসব উন্নত জাতের কুল গাছে চারা রোপণের ৭/৮ মাসের মধ্যেই ফুল আসতে শুরু করে এবং গাছে রোগ বালাই খুবই কম হয়।
প্রথম বছর উৎপাদন খরচ লাগলেও পরবর্তী বছর থেকে একটু পরিচর্যা আর সামান্য জৈব সারের ব্যবহার করলেই হয়। বিঘা প্রতি ৩০ হাজার টাকা খরচে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফল পাওয়া যায়।

ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান জানান,
‘ ধামরাইতে প্রতিবছর কুল চাষী বাড়ছে। কুল চাষে সবজির চেয়ে বেশি লাভ হয়। এজন্য কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষে ঝুঁকছে। আর কুল চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় চাষাবাদ খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হয়।
এবছর উপজেলার প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা উপজেলার কুল চাষীদের সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

ধামরাইয়ে বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষে সফল চাষীরা

Update Time : ০৭:৪৬:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

আরমান হোসেন খান,
উপজেলা প্রতিনিধি,ধামরাই (ঢাকা):
ঢাকার ধামরাইয়ে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হওয়া উচ্চ ফলনশীল জাতের কুলে (বরই)লাভের আশা করছে কৃষকরা। কুলবাগান গুলো কাঁচা – পাকা কুলে থোকায় থোকায় ভরে গেছে। আপেল কুল,কাশ্মীরি কুল, নারকেলী কুল সহ বেশকিছু উন্নত জাতের কুল আবাদ করা হয়েছে। এসব উন্নত জাতের কুল গাছের চারা রোপণ করার ৭ থেকে ৮ মাসের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু হয় এবং রোগ বালাই কম হওয়ায় প্রতিটি গাছে ফলন অনেক ভালো হয়।

সরেজমিনে দেখা যায় – কুল বাগানে সারি সারি কুল গাছ। আকারে ছোটো বড়জোর ৪ থেকে ৫ ফুট কুল গাছ কুলের ভারে নুয়ে পড়ছে।
কুল চাষী মনিরুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে সাত বিঘা জমিতে উন্নত জাতের কাশ্মীরি জাতের ‘ বল সুন্দরী আপেল কুল ‘ চাষ করেছেন তিনি। এই কুল গাছে প্রথম বছরেই ফলন আসে আর তাতে বিঘা প্রতি ১০০ থেকে ১২০ মণ হারে ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। এ কুল বাগান রোপণ ও পরিচর্যায় তার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফা আশা করছেন।

পূর্ব বাসনা গ্রামের আরেক কুল চাষী আলী হোসেন বলেন,আমি ৩ বছর যাবত কুল চাষ করি। আপেল কুল, কাশ্মীরি ও নারকেল কুল এই ৩ জাতের কুল আবাদ করছি। এসব উন্নত জাতের কুল গাছে চারা রোপণের ৭/৮ মাসের মধ্যেই ফুল আসতে শুরু করে এবং গাছে রোগ বালাই খুবই কম হয়।
প্রথম বছর উৎপাদন খরচ লাগলেও পরবর্তী বছর থেকে একটু পরিচর্যা আর সামান্য জৈব সারের ব্যবহার করলেই হয়। বিঘা প্রতি ৩০ হাজার টাকা খরচে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফল পাওয়া যায়।

ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান জানান,
‘ ধামরাইতে প্রতিবছর কুল চাষী বাড়ছে। কুল চাষে সবজির চেয়ে বেশি লাভ হয়। এজন্য কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে কুল চাষে ঝুঁকছে। আর কুল চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় চাষাবাদ খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হয়।
এবছর উপজেলার প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা উপজেলার কুল চাষীদের সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।