শংকর কান্তি দাশ,জেলা প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম:চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নিজের জমির চাষের ঘাস কাটতে বাঁধা দেওয়ায় কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নানকে গুলি করার সময় চারজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনগণ।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের মাদারবাড়ি এলাকার এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইউপি সদস্য আবদুল মন্নান কেঁওচিয়া ইউনিয়নের মাদারবাড়ি এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢেমশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আলমগীরপাড়ার মোহাম্মদ হারুনের ছেলে ফয়সাল উদ্দিন, একই এলাকার হারুনের ছেলে মোহাম্মদ সানজিদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড মাইজপাড়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে শাহাদত হোসেন মিশু ও খোরশেদ আলমের ছেলে জাসেদ বিন সাদেক।

হামলায় আহত সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, কেঁওচিয়ায় ৮০ শতক জমিতে ঘাস চাষ করেছি। আজ আমার জমিতে গিয়ে দেখি এক যুবক আমার ঘাস কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে বাধা দিলে সে আমাকে গুলি করার হুমকি দেয়। আমি সেখান থেকে চলে আসলে রাস্তারমাথা এলাকায় সানজিদ ১০/১১ জন সন্ত্রাসী কয়েকটি অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করলে স্থানীয়রা তাদের মধ্যে চারজনকে আটক করে। তখন স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

কেঁওচিয়া চেয়ারম্যান ওচমান আলী বলেন, জোর করে ঘাস কেটে নেওয়াতে বাধা দেওয়া, কেঁওচিয়ার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান কে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করার সময় জনগণের প্রতিরোধ করে ৪ জনকে অস্ত্র ও মটরসাইকেল সহ পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। দীর্ঘ দিন যাবত রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সাতকানিয়া রাস্তারমাথায় চাঁদাবাজি মাদক ছিনতায় অপহরণ এবং আড়তের দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন। আজ বাদে এশার রাস্তারমাথার ব্যবসীয়দের নিয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে, সেটাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র কিনা সেটা দেখার বিষয়। তিনি আরো বলেন চট্টগ্রাম ১৪ ও ১৫ আসনের নবনির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য ও সাতকানিয়া পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী বলেন, অস্ত্রসহ চারজনকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনগণ। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় কেঁওচিয়ার সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।