![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট:লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে রংপুর আবহাওয়া অফিস।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে তাই জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডা জেঁকে বসেছে লালমনিরহাটে। গত দু সপ্তাহ থেকে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতায় বাড়ায় জন-জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের সীমা নেই। নেই শীত নিবারণের গরম কাপড়, নেই শীতের প্রয়োজনীয় কম্বল শীতের জামা কাপড়। নেই রাতে কনকনে ঠাণ্ডা রোধে শীতের নিবারনের শীতবস্ত্র ।
পাটগ্রাম জগতবেড় এলাকার দিন মজুর আলীযার বলেন, এত ঠাণ্ডাত বায় হামরা কামোত যাবার পাই না। কামোত না গেইলে খামো কি?? সদর উপজেলার খুনিযাগাছ ইউনিয়নের মাহাতাব আলী বলেন, বাবা এমনি হামরা নদী ভাঙ্গা ভিটা মাটি হারা মানুষ হামার কিচ্চু নাই তার উপর এত ঠাণ্ডা শীত কাজোত না গেইলে পেটত ভাত যাবার নয়।
তিনি বলেন, বাপো হামার এলাকাত এ্যলাও হামার গুলার কোনো খোঁজ খবর কায়ো নেয় নাই। হামরা সাধারণ গরীব মানুষ, বড় কষ্টে আছি। শীতোত কামোত যাবার পাইনা হামাক গুলাক এ্যালাও কায়ও কম্বল দেয় নাই। ঠাণ্ডা সবার না পায়া হামরাগুলা আগুন তাপাইতেছি। এই জারোত হামার মতো অনেক গরীর মানুষ কামোত যাবার পায় নাই এই ঠাণ্ডার কারণে। যদি হামার গুলার কম্বলের ব্যবস্থা করি দেনেন হয় তা হইলে হামার গুলাক আর আইতোত ঠাণ্ডা নাগিল না হয়।
এদিকে, ঠাণ্ডাজনিত রোগে অনেক মানুষ ভিড় করছেন হাসপাতালে। আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হাসাপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু ও বয়স্কদের রোগীর সংখ্যা বেশি। ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।