![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
লিটন সরকার,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রে ড্রেজিং ও ব্যাপক নদীভাঙ্গার কারনে ২দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ। এ নিয়ে নদী
ভাঙ্গনরোধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসি। রবিবার সকাল ৭ টার দিকে এলাকাবাসির উদ্দোগে
রৌমারী ফেরি ঘাটে এ মানববন্ধন পালন করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, ফজলুল হক, শাহ আলম, রুহুল
আমিন ও শামছউদ্দিন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন যতক্ষন পর্যন্ত ড্রেজার বন্ধ না হবে ততক্ষন পর্যন্ত ফেরী বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। এছাড়া মনবনবন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নদীতে ফেরি চলাচলের জন্য অপরিকল্পিত ভাবে চেনেল খনন ও বালু উত্তোলন করে পূর্বপাশে ফেলানো হচ্ছে। এতে মুল
স্রোতধারা বন্ধ হয়ে নদীর পানি কিনার দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ফসলি জমি ও বসতভিটা ভেঙ্গে
যাচ্ছে। এতে গত কয়েকদিনে সুপারির বাগান, ইউক্লিপটার গাছ ও দুটি বাড়ি নদী গর্ভে
বিলিন হয়েছে। নিঃস্ব হয়েছে প্রায় ১১টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দুটি বর্তমানে কোন
স্থান না পেয়ে নদের কিনারের পাশেই টিনশেড দিয়ে ছাপড়া ঘর উঠিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে
স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
স্থানীয়বাসিন্দা শামছউদ্দিন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে কিনারের প্রায় ১০০
গজ দুরে বালু ফেলে পানির মুল স্রোতধারা বন্ধ করে দেয়। এই পানি কিনার ঘেষে নেমে যাচ্ছে এবং
প্রবল স্রোতের কারনে আমার জমি, বাড়িভিটা ভেঙ্গে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি
আরো খারাপ হবে। প্রশাসনের কাছে এই কার্যক্রম বন্ধের দাবী জানাচ্ছি।
সহকারি শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, ফেরি চলছে, এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো। তবে ড্রেজার
দিয়ে নদী খনন করে বালু ফেলে মুখ বন্ধ করে কিনার দিয়ে পানির মুখ খোলে দেওয়ায় ফসলি জমি ও
খেটে খাওয়া মানুষের বাড়ি ঘর ভাঙ্গছে। এটা কাম্য নয়। আমি সরকারের কাছে জোর আবেদন
করছি এটার সুষ্ঠ তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। তাতে ফেরিও চলবে ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোও
বাচবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপসহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদী ভাঙ্গনের ফলে র্যাম
ডেবে গেছে। এ কারনে গতকাল শনিবার বিকাল থেকে এখন পর্যন্ত ফেরি থেকে গাড়ি নামাতে
পারিনি। গত রাতে র্যাম এর কাছ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। তাদের দাবী র্যাম থেকে
উত্তর দিকে প্রায় ৫০০ গজ পর্যন্ত নদী ভাঙ্গনরোধ করা হোক।
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,
বন্দবেড় ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আপাতত জিও ব্যাগ ফেলা
হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসন খান বলেন, এবিষয়ে নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড
কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।