Add more content here...
Dhaka ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

রৌমারীতে ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৭২ Time View

লিটন সরকার,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
পারিবারিক কলহ ও পরকিয়ার জের ধরে সুলতানা (১৯) নামের এক গৃহবধূকে স্বামীর নির্যাতনে মৃত্যুর প্রতিবাদে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেয়ার দাবীতে নিহতের পরিবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার ১৬ অক্টোবর বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ইছাকুড়ি গ্রামে ভুক্তভোগী তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন পালন করেন।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহ ও বড় ভাবি আখিঁ বেগমের সাথে পরকিয়ার জেরে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে স্বামী আবু হানিফ ও তার পরিবার। ইতি পূর্বে একাধিক বার শালিসী বৈঠক করে সমাধান করা হলেও কিছু দিন পর আবার চলে দিন রাত নির্যাতন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে গত ৬ অক্টোবর বিকালে ও ৭ অক্টোবর সকালে নির্যাতনের ফলে অসুস্থ হয়ে পরে সুলতানা। কিছুক্ষন পর মৃত্যু ভেবে গলায় ফাঁসির দরি লাগিয়ে ঘরে ধরনার সাথে লটকিয়ে রেখে এলাকার লোকজনদের খবর দেন স্বামীর পরিবার। ততক্ষণে সুলতানা মৃত্যুর দার প্রান্তে। নিহতের পরিবার জানেন না। পরে নিজেরাই ফাঁসির রশি খুলে সুলতানাকে ময়ময়নসিংহ ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। চিকিৎসারত অবস্থায় ডাক্তার মৃত্যু ঘোষনা করেন সুলতানার। পরে সুলতানার পিতা ছলিম উদ্দিন জানতে পারলে নিজে বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের পরে অভিযুক্ত আবু হানিফকে গ্রেফতার করলেও মামলার বাকি আসামীদের এখন গ্রেফতার করা হয়নি। স্বামীর এই পাশবিক নির্যাতনের ফলে সুলতানার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তারা। তবে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সরকারের কাছে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিহতের পিতা ছলিম উদ্দিন, মাতা আঞ্জিমা বেগম, জেঠা নজরুল ,রফিকুল ইসলাম ও ছোট ভাই আখিরুল ইসলামসহ অনেকে।

উলেক্ষ্য যে, ৭ অক্টোবর শনিবার সকালে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুলতানাকে বেধরক শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেন তার স্বামী। মেয়ের নির্যাতনের খবর পেয়ে পিতা ছলিম উদ্দিন মেয়েকে আনার জন্য জামাই বাড়িতে গেলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে তারা। এক পর্যায়ে মেয়েকে না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পরের দিন সকালে আবারো নির্যাতন করলে স্বজনরা তাকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক সুলতানাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রিফাড করেন। সেখানে কিছুক্ষণ নেয়ার পর মৃত্যুর কোলে টোলে পড়েন সুলতানা। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ছলিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

রৌমারীতে ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৭:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

লিটন সরকার,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
পারিবারিক কলহ ও পরকিয়ার জের ধরে সুলতানা (১৯) নামের এক গৃহবধূকে স্বামীর নির্যাতনে মৃত্যুর প্রতিবাদে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেয়ার দাবীতে নিহতের পরিবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার ১৬ অক্টোবর বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ইছাকুড়ি গ্রামে ভুক্তভোগী তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন পালন করেন।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহ ও বড় ভাবি আখিঁ বেগমের সাথে পরকিয়ার জেরে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে স্বামী আবু হানিফ ও তার পরিবার। ইতি পূর্বে একাধিক বার শালিসী বৈঠক করে সমাধান করা হলেও কিছু দিন পর আবার চলে দিন রাত নির্যাতন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে গত ৬ অক্টোবর বিকালে ও ৭ অক্টোবর সকালে নির্যাতনের ফলে অসুস্থ হয়ে পরে সুলতানা। কিছুক্ষন পর মৃত্যু ভেবে গলায় ফাঁসির দরি লাগিয়ে ঘরে ধরনার সাথে লটকিয়ে রেখে এলাকার লোকজনদের খবর দেন স্বামীর পরিবার। ততক্ষণে সুলতানা মৃত্যুর দার প্রান্তে। নিহতের পরিবার জানেন না। পরে নিজেরাই ফাঁসির রশি খুলে সুলতানাকে ময়ময়নসিংহ ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। চিকিৎসারত অবস্থায় ডাক্তার মৃত্যু ঘোষনা করেন সুলতানার। পরে সুলতানার পিতা ছলিম উদ্দিন জানতে পারলে নিজে বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের পরে অভিযুক্ত আবু হানিফকে গ্রেফতার করলেও মামলার বাকি আসামীদের এখন গ্রেফতার করা হয়নি। স্বামীর এই পাশবিক নির্যাতনের ফলে সুলতানার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তারা। তবে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সরকারের কাছে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিহতের পিতা ছলিম উদ্দিন, মাতা আঞ্জিমা বেগম, জেঠা নজরুল ,রফিকুল ইসলাম ও ছোট ভাই আখিরুল ইসলামসহ অনেকে।

উলেক্ষ্য যে, ৭ অক্টোবর শনিবার সকালে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুলতানাকে বেধরক শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেন তার স্বামী। মেয়ের নির্যাতনের খবর পেয়ে পিতা ছলিম উদ্দিন মেয়েকে আনার জন্য জামাই বাড়িতে গেলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে তারা। এক পর্যায়ে মেয়েকে না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পরের দিন সকালে আবারো নির্যাতন করলে স্বজনরা তাকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক সুলতানাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রিফাড করেন। সেখানে কিছুক্ষণ নেয়ার পর মৃত্যুর কোলে টোলে পড়েন সুলতানা। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ছলিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।