Add more content here...
Dhaka ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

মাদারগঞ্জে যুবলীগের নেতা লাজু ও তার পিতার জমি দখল বানিজ্য ও নানান অপকর্মে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩৩৭ Time View

ক্রাইম রিপোর্টার,জামালপুর:জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ২নং কড়ইচূড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রকিবুল ইসলাম আবলু মেম্বার ও তার পুত্র কড়ইচূড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান লাজুর বিরুদ্ধে ফিল্ম কায়দায় দলীয় প্রভাব দেখিয়ে অন্যের জমি জবর দখল বাণিজ্য ও মারধরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।ক্রয়সুত্রে জমির মালিক সৌদি প্রবাসী রহমতুল্যার স্ত্রী নাছরিন বেগমকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। ২০ জানুয়ারি শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে । ভুক্তভোগী নাছরিন বেগম( ৪০) জানান-আমার স্বামীর ক্রয়কৃত জমি ক্রয়ের পর থেকেই আমার স্বামী বিদেশে থাকায় আমি নিজেই ভোগদখল করে আসিতেছি। হঠাৎ রকিবুল ইসলাম আবলু মেম্বার ও তার ছেলে ২ নং কড়ইচড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাক রাশেদুল হাসান লাজু আমার জমিতে আমি হালচাষ করতে গেলে বাধা দেয়। পরবর্তীতে আপোষ মিমাংসার জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চু ও মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলালের স্বরনাপন্ন হলে তারাও বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন কিন্তু গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কারও কথা তোয়াক্কা না করে তাহার লালিত সন্ত্রাসী দ্বারা আমাকে জমিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করেন । অবশেষে আমি এলাকায় কোন সমাধান না পেয়ে আমি নিজের নিরাপত্তা ও আমার ক্রয়কৃত জমি জবরদখের পায়তারা থেকে পরিত্রাণের জন্য মাদারগঞ্জ থানায় অভিযোগ করি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বার বার ডাকার পরেও তাকে থানায় তাহার দাবিকৃত জমির উপযুক্ত কাগজপত্রসহ হাজির করতে বললে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। এমতাবস্থায় মাদারগঞ্জ থানার অত্র অভিযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর জিন্নাত আলী আমাকে মৌখিক ভাবে জমিতে পূর্বের নেয় চাষাবাদ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অদ্য ২০ জানুয়ারি /২৪ আমি আমার জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আমাকে মারধর করেন এবং আমার ক্রয়কৃত জমি জবর দখলের চেষ্টা করলে আমি ঘটনাস্থলে পৌছিলে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে প্রায় মৃত্যু শয্যা অবস্থায় আমাকে রেখে চলে গেলে এলাকার লোকের ডাক চিৎকার শোনে আমাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি আমার উপর এই জঘন্যতম নির্যাতন ও জবরদখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসন ও মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মির্জা আজম এম.পি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শুধু তাই নয় এই ঘটনার পরে একই এলাকায় শাহজালালের মোড়স্থ (শয়তানের মোড়) প্রবাসী শিপন( ৪৫) শামসুল হক প্রামাণিক এর আদালতে রায় কৃত ৩৪ শতাংশ জমিতে ঘর তুলতে গেলে কডইচডা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান লাজুর নেতৃত্বে ও তার প্রথম আক্রমণ পরেই একসঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী দখলে চেষ্টা করে এবং ঘটনাস্থলেই বাধা দিতে গেলে রিপনের কন্যা রিপা (২৬) ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শাহ নেওয়াজ সিফাত মারাত্মক জখম হয় এবং রিপার মায়ের গলার লক্ষাদিক মূল্যের একটি সোনার চেইন,রিপার আই ফোনএবং আরেক জনের আরেকটি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে লাজু বাহিনী।তাদেরকে রক্ষা করতে গেলে রিপা ও সিফাতের মা সহ ৪ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রানী আহত হন। মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী বুকে মারাত্মক জখম হয়। রানী বেগম অভিযোগ করে বলেন- লাজু কড়ইচড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর হতেই ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গায় সঙ্ঘবদ্ধ দল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল,সুদের কারবারি, মামলার দালালি মাহিন্দ্রা গাড়ির দিয়ে মাটির ব্যবসা, দালালি, বয়স্ক বিধবাদের কাছ থেকে উৎকোষ গ্রহণ করে অরাজকতার তৈরি করেছে। তার কথা কাজ ও অসৌজন্য মূলক আচারণে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। তার দলীয় এহন প্রভাব খাটিয়ে এমন কর্মকান্ডের কারণে মির্জা আজম এমপি ও দলীয় ভাবমূর্তি সে ক্ষুন্ন করতেছে । তার লাগামহীন আচারণে অতিষ্ঠ অনেক অসহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী এমন মন্তব্য করেছেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন – লাজুর এরকম বিচার ও বিভিন্ন অভিযোগ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলাল বলেন- আমরা তার সাথে কথা বললে সে ঐ কথা রাখেনা।লাজু তার মতেই চলে।তার যা মনে হয় আর তাই করে। আমরা তার আগেও নাই পরেও নাই। লাজু প্রবাশি শিপন মিয়ার স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন – আমাকে ঘর তোলার জায়গা দিতে হবে, নয়তো টাকা দিতে হবে। অন্যথা তোর ছেলে সিফাত কে শেষ করে ফেলবো। জীবনেও তোর ছেলেকে ফিরে পাবি না। এবং এই জায়গায় ঘরও উঠাতে পারবি না।

লাজু ঘটনাস্থ হতে যেতে যেতে আরও বলে- এখানে যে আসবে তাকে এখানেই পুতে ফেলব। আমার হাত থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবেনা। তার হুমকি ধমকিতে স্বাক্ষী ও বাদী পক্ষ সবাই আতঙ্কে রয়েছে। কখন কোথায় যেন আক্রমণ করে বসে।
তবে যুবলীগের এই নেতা লাজুর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে আসতে অস্বীকার করে মুঠো ফোনে তার বাবার সাথে কথা বলতে বলেন। তার বাবার দেখা করলে আবলু মেম্বার সাংবাদিকদের বলেন – আমার ছেলে লাজু কে কর্ম করে খাওয়ার জন্য ভেকু ও কয়েকটা মাহিন্দ্রগাড়ি কিনে দিয়েছে সে মাটির ব্যবসার সাথে অন্যান্য আরো কিছু করছে তবে মারামারির সময় লাজু উপস্থিত ছিলো না।আর যুবলীগের যেহেতু সাধারণ সম্পাদক তার কিছু পোলাপান থাকা স্বাভাবিক। তাই বলে জবর দলখ করবে এটা আমি মানি না। আর নাছরিন বেগম কে আমরা মারি নাই। আমি বলেছি নাছরিন কে মারার দরকার নাই।তাকে ও তার বৃদ্ধ মা কে বিবাদমান জমি থেকে অন্য জমিতে ফেলে রেখে আমরা জমি চাষ করে বোরধান লাগিয়ে চলে এসেছি।
এবিষয়ে মাদারগঞ্জ থানার ওসি বলেন – মারামারি খবর শুনে আমি ফোর্স পাঠিয়েছিলাম।#

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

মাদারগঞ্জে যুবলীগের নেতা লাজু ও তার পিতার জমি দখল বানিজ্য ও নানান অপকর্মে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ

Update Time : ১০:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

ক্রাইম রিপোর্টার,জামালপুর:জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ২নং কড়ইচূড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রকিবুল ইসলাম আবলু মেম্বার ও তার পুত্র কড়ইচূড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান লাজুর বিরুদ্ধে ফিল্ম কায়দায় দলীয় প্রভাব দেখিয়ে অন্যের জমি জবর দখল বাণিজ্য ও মারধরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।ক্রয়সুত্রে জমির মালিক সৌদি প্রবাসী রহমতুল্যার স্ত্রী নাছরিন বেগমকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। ২০ জানুয়ারি শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে । ভুক্তভোগী নাছরিন বেগম( ৪০) জানান-আমার স্বামীর ক্রয়কৃত জমি ক্রয়ের পর থেকেই আমার স্বামী বিদেশে থাকায় আমি নিজেই ভোগদখল করে আসিতেছি। হঠাৎ রকিবুল ইসলাম আবলু মেম্বার ও তার ছেলে ২ নং কড়ইচড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাক রাশেদুল হাসান লাজু আমার জমিতে আমি হালচাষ করতে গেলে বাধা দেয়। পরবর্তীতে আপোষ মিমাংসার জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চু ও মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলালের স্বরনাপন্ন হলে তারাও বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন কিন্তু গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কারও কথা তোয়াক্কা না করে তাহার লালিত সন্ত্রাসী দ্বারা আমাকে জমিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করেন । অবশেষে আমি এলাকায় কোন সমাধান না পেয়ে আমি নিজের নিরাপত্তা ও আমার ক্রয়কৃত জমি জবরদখের পায়তারা থেকে পরিত্রাণের জন্য মাদারগঞ্জ থানায় অভিযোগ করি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বার বার ডাকার পরেও তাকে থানায় তাহার দাবিকৃত জমির উপযুক্ত কাগজপত্রসহ হাজির করতে বললে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। এমতাবস্থায় মাদারগঞ্জ থানার অত্র অভিযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর জিন্নাত আলী আমাকে মৌখিক ভাবে জমিতে পূর্বের নেয় চাষাবাদ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অদ্য ২০ জানুয়ারি /২৪ আমি আমার জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আমাকে মারধর করেন এবং আমার ক্রয়কৃত জমি জবর দখলের চেষ্টা করলে আমি ঘটনাস্থলে পৌছিলে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে প্রায় মৃত্যু শয্যা অবস্থায় আমাকে রেখে চলে গেলে এলাকার লোকের ডাক চিৎকার শোনে আমাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি আমার উপর এই জঘন্যতম নির্যাতন ও জবরদখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসন ও মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মির্জা আজম এম.পি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শুধু তাই নয় এই ঘটনার পরে একই এলাকায় শাহজালালের মোড়স্থ (শয়তানের মোড়) প্রবাসী শিপন( ৪৫) শামসুল হক প্রামাণিক এর আদালতে রায় কৃত ৩৪ শতাংশ জমিতে ঘর তুলতে গেলে কডইচডা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান লাজুর নেতৃত্বে ও তার প্রথম আক্রমণ পরেই একসঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী দখলে চেষ্টা করে এবং ঘটনাস্থলেই বাধা দিতে গেলে রিপনের কন্যা রিপা (২৬) ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শাহ নেওয়াজ সিফাত মারাত্মক জখম হয় এবং রিপার মায়ের গলার লক্ষাদিক মূল্যের একটি সোনার চেইন,রিপার আই ফোনএবং আরেক জনের আরেকটি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে লাজু বাহিনী।তাদেরকে রক্ষা করতে গেলে রিপা ও সিফাতের মা সহ ৪ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রানী আহত হন। মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী বুকে মারাত্মক জখম হয়। রানী বেগম অভিযোগ করে বলেন- লাজু কড়ইচড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর হতেই ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গায় সঙ্ঘবদ্ধ দল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল,সুদের কারবারি, মামলার দালালি মাহিন্দ্রা গাড়ির দিয়ে মাটির ব্যবসা, দালালি, বয়স্ক বিধবাদের কাছ থেকে উৎকোষ গ্রহণ করে অরাজকতার তৈরি করেছে। তার কথা কাজ ও অসৌজন্য মূলক আচারণে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। তার দলীয় এহন প্রভাব খাটিয়ে এমন কর্মকান্ডের কারণে মির্জা আজম এমপি ও দলীয় ভাবমূর্তি সে ক্ষুন্ন করতেছে । তার লাগামহীন আচারণে অতিষ্ঠ অনেক অসহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী এমন মন্তব্য করেছেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন – লাজুর এরকম বিচার ও বিভিন্ন অভিযোগ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলাল বলেন- আমরা তার সাথে কথা বললে সে ঐ কথা রাখেনা।লাজু তার মতেই চলে।তার যা মনে হয় আর তাই করে। আমরা তার আগেও নাই পরেও নাই। লাজু প্রবাশি শিপন মিয়ার স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন – আমাকে ঘর তোলার জায়গা দিতে হবে, নয়তো টাকা দিতে হবে। অন্যথা তোর ছেলে সিফাত কে শেষ করে ফেলবো। জীবনেও তোর ছেলেকে ফিরে পাবি না। এবং এই জায়গায় ঘরও উঠাতে পারবি না।

লাজু ঘটনাস্থ হতে যেতে যেতে আরও বলে- এখানে যে আসবে তাকে এখানেই পুতে ফেলব। আমার হাত থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবেনা। তার হুমকি ধমকিতে স্বাক্ষী ও বাদী পক্ষ সবাই আতঙ্কে রয়েছে। কখন কোথায় যেন আক্রমণ করে বসে।
তবে যুবলীগের এই নেতা লাজুর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে আসতে অস্বীকার করে মুঠো ফোনে তার বাবার সাথে কথা বলতে বলেন। তার বাবার দেখা করলে আবলু মেম্বার সাংবাদিকদের বলেন – আমার ছেলে লাজু কে কর্ম করে খাওয়ার জন্য ভেকু ও কয়েকটা মাহিন্দ্রগাড়ি কিনে দিয়েছে সে মাটির ব্যবসার সাথে অন্যান্য আরো কিছু করছে তবে মারামারির সময় লাজু উপস্থিত ছিলো না।আর যুবলীগের যেহেতু সাধারণ সম্পাদক তার কিছু পোলাপান থাকা স্বাভাবিক। তাই বলে জবর দলখ করবে এটা আমি মানি না। আর নাছরিন বেগম কে আমরা মারি নাই। আমি বলেছি নাছরিন কে মারার দরকার নাই।তাকে ও তার বৃদ্ধ মা কে বিবাদমান জমি থেকে অন্য জমিতে ফেলে রেখে আমরা জমি চাষ করে বোরধান লাগিয়ে চলে এসেছি।
এবিষয়ে মাদারগঞ্জ থানার ওসি বলেন – মারামারি খবর শুনে আমি ফোর্স পাঠিয়েছিলাম।#