![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ রেজাউল করিম:দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারণ করা ১৫ শতাংশ ট্যাক্স (ভ্যাট) দিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার-২৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এ আদেশের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আদেশের পর এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি হাসান ওয়ালী এবং সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সৌরভ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের অযৌক্তিক ট্যাক্স আরোপের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে ছাত্র ইউনিয়নসহ সাধারণ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা।
‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ মুভমেন্টের মাধ্যমে প্রথম এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলো ছাত্র জনতা। আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে নতুন করে এই ট্যাক্স আরোপ হলো। এই ট্যাক্সের প্রতিটি টাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই নেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যা শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তরের চূড়ান্ত ধাপ ,বলে শিক্ষাবিদগণ মনে করছেন।
সব বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয়কে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতেই হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার পর যা লাভ থাকবে, তার উপর এই ১৫ শতাংশ ট্যাক্স কার্যকর হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ভ্যাট শিক্ষার্থীদের উপরেই চাপিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যায়।
এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই অতিরিক্ত ১৫% ট্যাক্স কোত্থেকে তুলবে বলে মনে করেন? মন্তব্য করতে পারেন কি? নিশ্চয়ই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পকেট থেকে এই ভ্যাট কাটা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার উপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কর্তৃক ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। আওয়ামী সরকারের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-১৬ইং, অর্থ বছরের খসড়া বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার উপর ১০ শতাংশ ভ্যাট চালু করার প্রস্তাব করেছিল।
যা,পরবর্তীতে প্রচুর সমালোচনার মুখের,পর তা কমিয়ে ৭.৫% করা হয়, ও ১ জুলাই ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
যেখান স্থানীয় সরকারকে, শিক্ষা ও সুশিক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা।
সেইখানে অভিভাবকরা মনে করছেন,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভ্যাট বসিয়ে শিক্ষার প্রতি অনিহা ও বন্ধকতা সৃষ্টি করার শামিল।‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়’দেশের প্রতিটি ছাত্রসংগঠনসহ সচেতন ছাত্রসমাজের প্রতিবাদ সমাবেশ করছে।