![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আশিকুর রহমান রুপম,বালিয়াকান্দি: আজ সকালে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, সমন্বিত প্রমিলা মুক্তি প্রচেষ্টা এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের উদ্যোগে রাজবাড়ীর নারুয়া ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন নির্দেশিকা” বাস্তাবায়নের আহবান জানিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আশা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন তামাক থেকে মাদকের ব্যবহার শুরু হয়। সমাজ, পরিবার ও যুব সমাজকে ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষায় তামাক মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরী।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মো : কামরুল ইসলাম সহকারি প্রধান শিক্ষক মুন্সি ইয়ার উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। তিনি বলেন তামাক নিয়ন্ত্রণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় বাবস্থা নিতে হবে। তিনি এ বিষয়ে আভিভাবকদের সতর্ক ভূমিকা পালন করতে বলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমন্বিত প্রমিলা মুক্তি প্রচেষ্টা এর নির্বাহী পরিচালক মো: মোকারম হোসেন। তিনি বলেন সুস্থ দেশ ও জাতি গঠনের বিগতদিনেরও সরকার বিভিন্ন সুপরিকল্পিত ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহন করছেন। স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন গাইড লাইন একটি অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত এটির বাস্তবায়ন 2040 সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।
সভায় নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম স্থানীয় সরকার গাইড লাইন অনুসারে তামাক নিয়ন্তরন আইন বাস্তবায়নে বেসরকারী সংগঠনগুলোকে আর্থিক বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন সরকারি বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যেগে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যপরিচলনার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতায় অনুসারে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেগুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে এমতাবস্থায় স্থানীয় সংগঠনগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি তাদের মনিটরিং কার্যক্রেমের সাথে যুক্ত করা গেলে তামাক নিয়ন্ত্রণে আশানুরুপ ফলাফল আসবে বলে আমার বিশ্বাস।