![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
শংকর কান্তি দাশ,জেলা প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম: বিশ্বপরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় অতিথি পাখি শিকার বন্ধ করতে পাখি প্রেমীদের সাথে নিয়ে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অদ্য ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকাল ৪ঘটিকায় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অজি উল্লাহ কাঞ্চন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নাজিবুল্লাহ, চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ জাকির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম, বক্তারা বলেন, পাখি প্রকৃতির অলংকার। অতিথি পাখি শীতকালের সৌন্দর্য, যার উপস্থিতিতে প্রকৃতিতে আসে নতুন রুপ। পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, ধরে রাখে। অতিথি পাখিরা যেন মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে। তাই পাখিদের প্রতি সকলের সহনশীল হতে হবে। আমাদের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসে সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেসকল জায়গাগুলাতে পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের নজরদারি কামনা করেন। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে একদশক আগেও এদেশে প্রায় ২১৫ প্রজাতির অতিথি পাখি আসত। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত অতিথি পাখি আগমনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বক্তারা বলেন, গাছ পালা কেটে বন উজার করা, জলাশয় ভরাট করে ঘর বাড়ি তৈরি করা, জলবায়ু পরিবর্তন, গাড়ির উচ্চ হর্ণ, আতশ বাজি, মাইকিং, কনসার্টের শব্দ, কনস্ট্রাকশন সাইটের শব্দ, প্রশাসনের ভূমিকা পালনে অবহেলা ইত্যাদির জন্য। বক্তারা এই সমস্ত বিষয়গুলোতে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তি পাখি হত্যাকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে পাখি নিধনের সর্বচ্চো শাস্তি একবছর জেল ও একলাখ টাকা অর্থদন্ড। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুইবছর জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। বাস্তবে এই আইন প্রযোগ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।