Add more content here...
Dhaka ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রশাসনের চোখের আড়ালে চলছে মাটির রমরমা ব্যবসা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১৭ Time View

মোঃ হারুন অর রশিদ,বগুড়া প্রতিনিধি:ভ্রাম্যমান আদালতে জেল জরিমানা এবং নিয়মিত মামলা হলেও বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় থামছেনা মাটি বালু ব্যবসায়ীদের দৌড়ত্ব। সকল বাঁধা অতিক্রম করে মাঝিড়া, খোট্রাপাড়া এবং মাদলা ইউনিয়নে মাটি উত্তোলন করছেন উপজেলার সবচেয়ে পুরাতন ব্যবসায়ীরা। আগামী বছরের জন্য ইট ভাটা গুলোয় মাটি সংরক্ষন করা হচ্ছে।

মাটি বহনকারী ট্রাকের চাকায় ধ্বংস হচ্ছে সরকারের বিপুল অর্থ ব্যায়ে নির্মিত সড়ক। অপরদিকে সড়ক সংলঘ্ন জমি কেটে পুকুর করায় সড়ক ভেঙে পুকুরে চলে যাচ্ছে অনেক জায়গায়। এতে সাধারণ জনদূর্ভোগের পাশাপাশি সমালোচনার মুখে পড়ছে সরকার।

মাটি উত্তোলনে ব্যবহার করা এসকেভেটর(খনন যন্ত্র) জব্দ সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে জানাযায়, মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর গ্রামে সম্প্রতি ৪টির বেশি জমি খনন করে মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। এখনো একটি পয়েন্ট চালু রয়েছে। মাটি উত্তোলন করছেন উপজেলার পুরাতন মাটি ব্যবসায়ীরা জানাই। এই ব্যবসায় অনেক ঝড় আছে । টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করেই চালাতে হচ্ছে।

পুরাতন মাটি ব্যবসায়ী শাকিল মোবাইল ফোনে বলেন, ওই এলাকায় আমার আর মাটির পয়েন্ট নাই। চকজোড়া গ্রামে পয়েন্ট ছিলো। ঈদের আগেই মাটি উত্তোলন শেষ করে সব পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছি।

সাজাপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ। আমাদের ক্ষতি হলেও এদের বিরুদ্ধে কথা বলা সম্ভব না। মহাসড়কের ফটকি সেতু থেকে চকজোড়া গ্রামের ভিতরের প্রায় ৪কিলোমিটার পাকা সড়ক ভেঙে একাকার করেছে শুধু মাটি বহনের ট্রাক।

মাদলা ইউনিয়নের মালিপাড়া চাপড়িবিল এলাকায় মাটি উত্তোলন করছেন নুর আলম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি(নুর আলম), হুরায়রা, রাসেল, মিন্টু, জেমস সহ কয়েকজন মাটি উত্তোলন করছিলাম। লাভ না হওয়ায় তা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন রাত ১২টার পর থেকে পয়েন্ট চালু হয়ে পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে।

খোট্রাপাড়া ইউনিয়নের খোট্রাপাড়া মাদরাসা পাড়া গ্রামে মাটি উত্তোলন করছেন রায়হানুল হক দুলাল শুভ। খোট্রাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুখ এর আত্বিয় পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে শুভ বলেন, আমি নিজের জমি কেটে পুকুর করছি।

এই পয়েন্টের আশপাশে আরো অন্তত ৫টি মাটির পয়েন্ট রয়েছে।

একই অবস্থা দেখা গেছে আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর, বিরহামপুর গ্রামে। খড়না ইউনিয়নের খড়না ফকিরপাড়া এবং বীরগ্রাম এলাকায়।

মাটি উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্থ্য বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, একজমিতে মাটি উত্তোলন করলে পাশর জমিতে আর ধান হয় না। পাকা সড়কের পাশ থেকে মাটি উত্তোলন করায় বিভিন্ন জায়গায় সড়ক ভেঙে গেছে। মাটি উত্তোলন বন্ধে এসকেভেটর মেশিন জব্দ সহ বন্ধ রয়েছে এমন পয়েন্ট গুলোতে নিয়মিত মামলা দিলে আমরা রক্ষা পাবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) জান্নাতুল নাইম মোবাইল ফোনে বলেন, আমি নতুন এসেছি। অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রশাসনের চোখের আড়ালে চলছে মাটির রমরমা ব্যবসা

Update Time : ১০:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ হারুন অর রশিদ,বগুড়া প্রতিনিধি:ভ্রাম্যমান আদালতে জেল জরিমানা এবং নিয়মিত মামলা হলেও বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় থামছেনা মাটি বালু ব্যবসায়ীদের দৌড়ত্ব। সকল বাঁধা অতিক্রম করে মাঝিড়া, খোট্রাপাড়া এবং মাদলা ইউনিয়নে মাটি উত্তোলন করছেন উপজেলার সবচেয়ে পুরাতন ব্যবসায়ীরা। আগামী বছরের জন্য ইট ভাটা গুলোয় মাটি সংরক্ষন করা হচ্ছে।

মাটি বহনকারী ট্রাকের চাকায় ধ্বংস হচ্ছে সরকারের বিপুল অর্থ ব্যায়ে নির্মিত সড়ক। অপরদিকে সড়ক সংলঘ্ন জমি কেটে পুকুর করায় সড়ক ভেঙে পুকুরে চলে যাচ্ছে অনেক জায়গায়। এতে সাধারণ জনদূর্ভোগের পাশাপাশি সমালোচনার মুখে পড়ছে সরকার।

মাটি উত্তোলনে ব্যবহার করা এসকেভেটর(খনন যন্ত্র) জব্দ সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে জানাযায়, মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর গ্রামে সম্প্রতি ৪টির বেশি জমি খনন করে মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। এখনো একটি পয়েন্ট চালু রয়েছে। মাটি উত্তোলন করছেন উপজেলার পুরাতন মাটি ব্যবসায়ীরা জানাই। এই ব্যবসায় অনেক ঝড় আছে । টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করেই চালাতে হচ্ছে।

পুরাতন মাটি ব্যবসায়ী শাকিল মোবাইল ফোনে বলেন, ওই এলাকায় আমার আর মাটির পয়েন্ট নাই। চকজোড়া গ্রামে পয়েন্ট ছিলো। ঈদের আগেই মাটি উত্তোলন শেষ করে সব পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছি।

সাজাপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ। আমাদের ক্ষতি হলেও এদের বিরুদ্ধে কথা বলা সম্ভব না। মহাসড়কের ফটকি সেতু থেকে চকজোড়া গ্রামের ভিতরের প্রায় ৪কিলোমিটার পাকা সড়ক ভেঙে একাকার করেছে শুধু মাটি বহনের ট্রাক।

মাদলা ইউনিয়নের মালিপাড়া চাপড়িবিল এলাকায় মাটি উত্তোলন করছেন নুর আলম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি(নুর আলম), হুরায়রা, রাসেল, মিন্টু, জেমস সহ কয়েকজন মাটি উত্তোলন করছিলাম। লাভ না হওয়ায় তা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন রাত ১২টার পর থেকে পয়েন্ট চালু হয়ে পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে।

খোট্রাপাড়া ইউনিয়নের খোট্রাপাড়া মাদরাসা পাড়া গ্রামে মাটি উত্তোলন করছেন রায়হানুল হক দুলাল শুভ। খোট্রাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুখ এর আত্বিয় পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে শুভ বলেন, আমি নিজের জমি কেটে পুকুর করছি।

এই পয়েন্টের আশপাশে আরো অন্তত ৫টি মাটির পয়েন্ট রয়েছে।

একই অবস্থা দেখা গেছে আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর, বিরহামপুর গ্রামে। খড়না ইউনিয়নের খড়না ফকিরপাড়া এবং বীরগ্রাম এলাকায়।

মাটি উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্থ্য বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, একজমিতে মাটি উত্তোলন করলে পাশর জমিতে আর ধান হয় না। পাকা সড়কের পাশ থেকে মাটি উত্তোলন করায় বিভিন্ন জায়গায় সড়ক ভেঙে গেছে। মাটি উত্তোলন বন্ধে এসকেভেটর মেশিন জব্দ সহ বন্ধ রয়েছে এমন পয়েন্ট গুলোতে নিয়মিত মামলা দিলে আমরা রক্ষা পাবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) জান্নাতুল নাইম মোবাইল ফোনে বলেন, আমি নতুন এসেছি। অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবো।