![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ হারুন অর রশিদ,
কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের সিংড়াপাড়াগ্রামের জমুদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলী সে শারীরিকভাবে একটু প্রতিবন্ধী ছিল। প্রতিবন্ধী রুস্তমের বয়স যখন ১৮ বছর ছিল তখন সে দুপচাঁচিয়া ধাপের হাটে বেড়াতে গিয়ে আর ফিরে আসে নাই ।সে নিজের নাম ঠিকানাও ঠিকভাবে বলতে না পারায় ট্রেনে উঠে সান্তাহার স্টেশনে নেমে আর বাড়ি ফিরতে পারে নাই। সে নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার ভাসরাইল ইউনিয়নের সারপুকুর গ্রামে এক বৃদ্ধ পিতা-মাতার আশ্রয়ে বড় হয়ে সংসার জীবন শুরু করেন।তখনো সে নিজের ঠিকানা বলতে না পারায় আশ্রয়ী পিতা-মাতার বাড়িতে সংসার জীবন শুরু করেন। এবং বিবাহ করে দুই সন্তানের পিতা হন ।পরে করোনা কালীন সময়ে তার স্ত্রী মারা যান এবং পরে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর পারিবারিক পরিচয় এর সূত্র ধরে কাহালু থানার দুর্গাপুর ইউনিয়নের আঠাশী গ্রামে আসলে তার অতীতের কিছু স্মৃতি ভেসে আসে রুস্তমের নানার বাড়ি ওই একই গ্রামে আটাশি। পরে রুস্তম আলী তার নানার বাড়ির লোকজনকে চিনতে পারে তার নানার বাড়ির লোকজন দুর্গাপুর ইউনিয়নের সিংড়াপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তার পিতা মাতাকেও সে চিনতে পারে দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর পর তার পরিবারের লোকজন রুস্তমকে ফিরে পেয়ে তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে এক সুখের কান্নার ঝড় বয়ে আসে। সে দীর্ঘদিন তার পিতা-মাতার কাছে ফিরে আসাতে শত শত লোকজন তাকে এক নজর দেখার জন্য তার বাড়িতে ভীড় জমায়।