![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আরমান হোসেন খান,জেলা প্রতিনিধি,ঢাকাঃ ঢাকার অদূরের উপজেলা সাভার। সেখানে ঘুরে বেড়ানোর মতো অনেক স্থান রয়েছে। তার মধ্যে গোলাপ গ্রাম অন্যতম। ফুল ভালোবাসে না এমন লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট বড় সবারই ফুলের প্রতি রয়েছে আলাদা এক দূর্বলতা। উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাহপুর গ্রাম থেকে ঘুরে আসতে পারেন। যা বর্তমানে গোলাপ গ্রাম নামেই বেশি পরিচিত।
যান্ত্রিক জীবনে অল্প সময়ের অবসরে যদি ঢাকার আশেপাশে একদিনের জন্য ঘুরতে চান তবে গোলাপ ফুলের রাজ্য থেকে ঘুরে আসতে পারেন। বিভিন্ন রং এর গোলাপ ফুল দিয়ে ঘেরা সমস্ত সাদুল্লাহপুর গ্রামটিকে একটি বাগান মনে হয়। ঢাকার সিংহভাগ গোলাপ ফুলের চাহিদা এই গোলাপ গ্রামের উৎপাদন থেকেই মেটানো হয়। বিস্তীর্ণ গোলাপের বাগান ছাড়াও এখানে রজনীগন্ধা, জারভারা ও গ্লাডিওলাসের বাগান রয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে বিরুলিয়ায় এই গ্রামটিতে গোলাপ চাষ শুরু হয়। এই ইউনিয়নের সাদুল্লাহপুর, শ্যামপুর, মোস্তাপাড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের জীবিকার প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মিরান্ডি জাতের রক্তলাল গোলাপের চাষ। বর্তমানে এই ইউনিয়নের ৮০ শতাংশ মানুষ গোলাপ চাষ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। বাণিজ্যিক ভাবে এই ফুল চাষের কারণে বছরের ১২ মাস গোলাপ চাষ হয়। শীতকালে এই ফুলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সহ জাতীয় দিবস গুলোতে গোলাপের চাহিদা থাকে ব্যাপক। বিরুলিয়ায় প্রায় চার হাজার চাষী গোলাপ ফুল চাষ করেন।
সকাল থেকে দুপুর গড়াতেই ফুল চাষীদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল কাটা, ফুল ভেজানো, ফুল বাধা সব কাজ শেষ করা হয় সন্ধ্যার আগেই। আশেপাশের গ্রাম থেকে এসে ফুল বিক্রেতারা এখান থেকে ফুল কিনে নিয়ে যায়। রাজধানীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার শাহবাগ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন ফুলের বাজার এখান থেকেই ফুল সরবরাহ করে।
দর্শনার্থীদের জন্য সাদুল্লাহপুরে মোটামুটি মানের বেশ কিছু খাবার হোটেল আছে। সেখানে ভাত, ভর্তা, ছোট মাছ, সবজি ইত্যাদি পাওয়া যায়।
দিনশেষে গোলাপ গ্রামের কিছুটা সৌরভময় স্মৃতি নিয়ে শহরের কর্মব্যস্ত জীবনে ফিরে আসার পূর্বে ভালোবাসার এই স্বর্গরাজ্যের মিষ্টির দোকান, দই, গরুর দুধের চা ইত্যাদি প্রিয়জনের সাথে দর্শনার্থীদেরকে করে তুলতে পারে আরো বেশি কল্পনাবিলাসী।