![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃমৌসুমি আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন দশমিনা থানা পুলিশ।
রোববার দুপুর ১ঃ৩০ মিনিটের সময় দশমিনার নলখোলা বন্দরের চারতলা ফ্ল্যাটের ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে মৌসুমির লাশ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত ফিরোজ আলমের মেয়ে মৌসুমি আক্তার।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,বহরমপুর ইউনিয়নের একই গ্রামের ফেরদৌসের সাথে ১৫ বছর আগে মৌসুমির প্রথম বিয়ে হয় প্রথম ঘরে তিনটি সন্তান রেখে দুই বছর আগে প্রথম স্বামী ফেরদৌস কে তালাক দিয়ে সোহাগ চেয়ারম্যানের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন মৌসুমি আক্তার। সোহাগ চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রীর দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
এইদিকে মৌসুমির পরিবার ও স্বজনের দাবি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে মৌসুমির বড় ভাই মনিরুজ্জামান বিপ্লব জানান,চেয়ারম্যান সোহাগ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমার বোন মৌসুমি কে ব্লকমেইল করে বিয়ে করেছেন তিনি বলেন বিয়ের পর থেকে
আমার বোন মৌসুমি সুখী ছিলোনা
প্রায় সময় চেয়ারম্যান সোহাগ আমার বোনের উপরে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন ও মা-র ধর করতেন নির্যাতনের ব্যাপারে কয়েক বার থানা পুলিশ কে অবহিত করলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে আমার বোনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মা’র ধরের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
মৌসুমির বড় বোন মোসাঃখুকি আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ নিয়মিত নেশা ও মাদক সেবন করে আমার বোনের উপরে শারীরিক নির্যাতন ও মা-র ধর করতেন
আমার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে আমি আমার বোনের হত্যার সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
আসাদুজ্জামান সোহাগ দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃআজিজের ছোট ভাই মোঃখলিলুর রহমানের ছেলে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করতে চাইলেও সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃআনোয়ার হোসেন তালুকদার জানায়, মৌসুমির মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ময়নাতন্ত শেষে রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।