![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মনিরুজ্জামান,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:রবিবার সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কান্দিলা গ্রামে এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছেলের নাম: মোহাম্মদ সোহাগ খান (৩৪)। সে ওই গ্রামের মো: সেলিম খানের ছেলে। আহত অবস্থা ওই পিতাকে টাঙ্গাইল জেনারেলের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । পিতা সেলিম খান তিনি জানান সংসারে তার দুই মেয়ে ও তার এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে দুটিকে বিবাহ দিয়েছেন। দীর্ঘদিন চাকরির পরে তিনি অবসরে আসেন তিনি। অবসরে এসে পেনশনের টাকা ও আবাদি সম্পত্তি বিক্রি করে তিনি একমাত্র ছেলে সোহাগের সুখের জন্য তিনি তিনতলা বাসা করেন। ছেলে লেখাপড়া না করায় তিনি জমি বিক্রি করে তার ছেলেকে বিদেশে পাঠান । বিদেশে গিয়ে ছেলে নারী সংক্রান্ত বিষয়ে জরিয়ে পড়েন এবং তিনি দেশে টাকা পাঠাতে পারতেন না। একপর্যায়ের ছেলে দেশে চলে আসে দেশে আসার পরও নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পরেন। অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ায় পিতাকে মাঝে মধ্যে অত্যাচার করতেন। অত্যাচার সইতে না পেরে বাবা বাড়ি থেকে চলে গিয়ে ৫ মাস অন্যত্র থাকে।সেই সুযোগে গত নয় মাস যাবত বাসা ভাড়া তুলে ইচ্ছে মতো খরচ করেন ওই ছেলে। বাসা ভাড়ার টাকা খরচ সামলাতে না পেরে এনজিও থেকে টাকা তুলেন ছেলে। যথারীতি কিস্তির টাকা পরিশোধ করে আসছেন ছেলে। হঠাৎ রবিবার সকালে বাবার কাছে কিস্তির টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাবাকে কিল-ঘুষি, চর-থাপ্পর ও লাথি মারে ছেলে সোহাগ। একপর্যায়ে খাওয়ার প্লেট দিয়ে বাবার মাথায় বাড়ি মারে। বাবা মাটিতে পড়ে গেলে আশপাশের লোকজন ও ছেলের বউ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে মেয়ের জামাতা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও তিনি জানান।আহত সেলিম খানের বড় মেয়ের জামাতা গালা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মো. সুজন খান বলেন, এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনা ইতোপুর্বেও ঘটেছে। মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বুঝতে দেয়নি। এবার তার শ্যালক সোহাগ যে কাণ্ড করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত ছেলে সোহাগ মুঠোফোনে জানান, দীর্ঘ নয় বছর বিদেশ করে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা দেশে পাঠায়। সেই টাকা দিয়ে দুই বোন ও বোনের সন্তানদের লেখাপড়ার পিছনে খরচ করেন তার বাবা। এছাড়াও বিদেশ থাকাকালীন সম্পত্তি বিক্রি করে বোনদের টাকা দেন। দেশে এসে বিয়ে করেন তিনি। তেমন কোনো উপার্জন না থাকায় বাসা ভাড়ার টাকা দিয়ে সংসার চলে। বোনদের পিছনে খরচ করার জন্য সেই ভাড়ার টাকা অর্ধেক নেওয়ার জন্য সালিশ বসান তার বাবা।
তিনি আরো বলেন, সালিশি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাড়ার টাকা অর্ধেক বাবা নিবে। সেই হিসেবে কিস্তির টাকা বাবাকে দিতে বলায় আমাকে মারপিট করে। আমি তাকে মারি নাই, আমি শুধু তাকে ধাক্কা দিছি।