![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
শরিফ আহম্মেদ চাঁদ,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার মার্কেট নির্মাণের নামে ৪৮ লাখ টাকা তসরুপের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপির সদ্য সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস ঝি,সি,কা,মা-১৭৯/২০২৩ নং স্মারকে গত ২৮ আগস্ট মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও মার্কেট নির্মাণ উপ কমিটির আহবায়ক কামাল হোসেনকে চিঠির মাধ্যমে মাদ্রাসার ব্যাংক একাউন্টে ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ৪৭০ টাকার হিসাব জমা দিতে বললেও এখনো পর্যন্ত জমা দেননি বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস। একই তারিখে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির আরেক সদস্য সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকেও ঝি,সি,কা,মা-১৭৮/২০২৩ নং স্মারকে ২০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার হিসাব দিতে বললেও তিনিও দেননি বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। জানা গেছে, শেরে বাংলা সড়কে মাদ্রাসার জমিতে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৯৭০ টাকা ব্যয়ে। মার্কেট নির্মাণ উপ কমিটির আহবায়ক কামাল হোসেন, সদস্য ও হিসাব রক্ষণকারী উপাধ্যক্ষ সরোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের প্রভাষক নুরুল ইসলাম। অধ্যক্ষ্য রুহুল কুদ্দুস অভিযোগ করেছেন মার্কেট নির্মাণে কোন খাতে কত খরচ হয়েছে, তার কোন ভাউচার দিচ্ছেন না আহবায়ক কামাল হোসেন ও সাবিনা ইয়াসমিন। তাদেরকে গত ২৮ আগস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত কামাল হোসেন বলেন, আমার কাছে মাদ্রাসার উন্নয়নের সকল অর্থের হিসাব প্রিন্সিপালকে কাগজে কলমে বুঝিয়ে দিয়েছি আর কোন হিসাব বাকি নাই। আমি চেক স্বাক্ষর করে দিয়েছি মাদ্রসার প্রিন্সিপাল ও সহকারী অধ্যক্ষ সহ কমিটির সকলে মিলে কাজ করা হয়েছে। আমার কাছে বরাদ্দের সমুদয় টাকার হিসাব কমিটির উপস্থিতিতে বুঝিয়ে দিয়েছি। তিনি উল্টো অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখেছেন। জানা গেছে, এই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসনের সাংসদ খালেদা খানমের ছেলে। ছেলের নামে খালেদা খানম নিজেই সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। শেরে বাংলা সড়কে মাদ্রাসার মার্কেট নির্মাণের নামে বিপুল অংকের এই টাকা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও কয়েকজন শিক্ষক মিলে আত্মসাৎ করেছেন। মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দিয়েও বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। মাদ্রাসার গাছ বিক্রি, নিয়োগ, অনুদানের টাকা আত্মসাৎ সহ বিপুল পরিমাণ টাকা মানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্য সদস্যরা আত্মসাৎ করে আসছেন। মাদ্রাসার এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দুদক যদি সঠিক তদন্ত করে তাহলে সব বেরিয়ে আসবে। এর আগে অডিটেও ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে কিন্তু টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেছে। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ সাহেবও বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত।