Add more content here...
Dhaka ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

ঝিনাইদহে সিভিল সার্জনের নামে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিরুপ মন্তব্য করার ভিডিও ভাইরাল

  • এস.এম রবি
  • Update Time : ০২:১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • ৬৫ Time View

এস.এম রবি,ঝিনাইদহ:ঝিনাইদহে সিভিল সার্জনের নামে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিরুপ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ও শুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এম. এ সামাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিরুপ মন্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও ফুটেজে সিভিল সার্জন কে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিরুপ মন্তব্য করা হয়েছে । ওই মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। শহরের বিভিন্ন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বৈধতা দেওয়ার ব্যাপারে সিভিল সার্জন সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেন এম,এ সামাদ। দায়িত্বশীল পদে থেকে জেলা সিভিল সার্জনকে নিয়ে এমন খারাপ মন্তব্য করা দুঃখজনক বলে মনে করছেন সচেতন মহল। গত পহেলা নভেম্বর শহরের হামদহ লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের পর তাদের নিবন্ধন নবায়ন করা হয়নি। এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাইতে প্রতিষ্ঠানের মালিক সাংবাদিকদের তথ্য দিতে অস্বীকার করেন এবং প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুঃ জাফর ইকবালের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোন ধরিয়ে দেন। মুঠোফোনে জাফর ইকবাল ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে নিউজ না করার অনুরোধ জানান এবং সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা আগামীকাল শুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন। ওখানে ওনার্স এসোসিয়েশন জেলা শাখার সভাপতি উপস্থিত থাকবেন। আপনাদের সাথে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিষয়ে তথ্য নিতে পরদিন শুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে সংগঠনের সভাপতি এম.এ সামাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিপক্ষে নিউজ না করার জন্য কৌশলে সাংবাদিকদের চাপ প্রয়োগ করেন এবং এক পর্যায়ে সিভিল সার্জনকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকেরা কোন ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা করতে পারেননা। কিন্তু যে কোন ক্লিনিক, হাসপাতাল স্থায়ী বা সাময়িকভাবে বন্ধ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ যাবতীয় কিছু সিভিল সার্জন করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা না করে মাসিক মাসোহারা খান। এছাড়া সিভিল সার্জন পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন না করে নতুন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০০০/= টাকা করে ঘুষ নিয়ে লাইসেন্সের জন্য সুপারিশ করে থাকেন। এছাড়াও তিনি বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি শর্ত আরোপের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কর্তৃক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিরুপ মন্তব্যের বিষয়টি সিভিল সার্জন এর দৃষ্টিগোচর হয়। এতে করে তিনি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাগত ভাবে মারাত্মক অসম্মানের স্বীকার হয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, শুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট না থাকায় তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য সুপারিশ করা হয়নি। যে কারণে তিনি এই ধরনের অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মন্তব্যের বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসক কে অবহিত করবেন। এছাড়া ঘুষের বিনিময়ে নতুন লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,শহরের সকল অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

ঝিনাইদহে সিভিল সার্জনের নামে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিরুপ মন্তব্য করার ভিডিও ভাইরাল

Update Time : ০২:১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

এস.এম রবি,ঝিনাইদহ:ঝিনাইদহে সিভিল সার্জনের নামে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিরুপ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ও শুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এম. এ সামাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিরুপ মন্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও ফুটেজে সিভিল সার্জন কে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিরুপ মন্তব্য করা হয়েছে । ওই মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। শহরের বিভিন্ন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বৈধতা দেওয়ার ব্যাপারে সিভিল সার্জন সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেন এম,এ সামাদ। দায়িত্বশীল পদে থেকে জেলা সিভিল সার্জনকে নিয়ে এমন খারাপ মন্তব্য করা দুঃখজনক বলে মনে করছেন সচেতন মহল। গত পহেলা নভেম্বর শহরের হামদহ লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের পর তাদের নিবন্ধন নবায়ন করা হয়নি। এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাইতে প্রতিষ্ঠানের মালিক সাংবাদিকদের তথ্য দিতে অস্বীকার করেন এবং প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুঃ জাফর ইকবালের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোন ধরিয়ে দেন। মুঠোফোনে জাফর ইকবাল ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে নিউজ না করার অনুরোধ জানান এবং সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা আগামীকাল শুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন। ওখানে ওনার্স এসোসিয়েশন জেলা শাখার সভাপতি উপস্থিত থাকবেন। আপনাদের সাথে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিষয়ে তথ্য নিতে পরদিন শুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে সংগঠনের সভাপতি এম.এ সামাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিপক্ষে নিউজ না করার জন্য কৌশলে সাংবাদিকদের চাপ প্রয়োগ করেন এবং এক পর্যায়ে সিভিল সার্জনকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকেরা কোন ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা করতে পারেননা। কিন্তু যে কোন ক্লিনিক, হাসপাতাল স্থায়ী বা সাময়িকভাবে বন্ধ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ যাবতীয় কিছু সিভিল সার্জন করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা না করে মাসিক মাসোহারা খান। এছাড়া সিভিল সার্জন পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন না করে নতুন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০০০/= টাকা করে ঘুষ নিয়ে লাইসেন্সের জন্য সুপারিশ করে থাকেন। এছাড়াও তিনি বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি শর্ত আরোপের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কর্তৃক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিরুপ মন্তব্যের বিষয়টি সিভিল সার্জন এর দৃষ্টিগোচর হয়। এতে করে তিনি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাগত ভাবে মারাত্মক অসম্মানের স্বীকার হয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, শুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট না থাকায় তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য সুপারিশ করা হয়নি। যে কারণে তিনি এই ধরনের অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মন্তব্যের বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসক কে অবহিত করবেন। এছাড়া ঘুষের বিনিময়ে নতুন লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,শহরের সকল অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।