Add more content here...
Dhaka ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

চাঞ্চল্যকর ৪ খন্ড লাশের রহস্য উন্মোচন, আলামতসহ ও হত্যাকারী গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • ১৪২ Time View


মোঃ রেজাউল করিম,
ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর,ময়মনসিংহ:
গত ০২-০৬-২০২৪ইং তারিখে সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী মডেল থানাধীন মনতলাস্থ সুতিয়াখালী নদীর ব্রীজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাগেজ ও পাশেই স্থলভাগে একটি মানুষের মাথা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা নিকটস্থ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ঘটনাস্থল হতে মানুষের মাথা ও পাশেই পানিতে ভাসমান লাগেজ উদ্ধার করে লাগেজ খুলে চার টুকরা পুরুষের খন্ডিত অংশ পাওয়া যায়।

পুলিশের পাশাপাশি পুলিশে অন্যান্য বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআই, সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক লাশের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ জেলা পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুকে সংবাদ পোষ্ট করা হয়। ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আনুষক্সিগক অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করে লাশের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহের নিমিত্তে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যাকান্ডের বিষয়ে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভিকটিমের আত্মীয় -স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম এর মুখমন্ডল, পড়নের কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট দেখে পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হন। সনাক্তকৃতদের পরিচয় থেকে জানা যায় ভিকটিমের নাম ওমর ফারুক সৌরভ (২৪)বছর পিতা-মোঃ ইউসুফ আলী, মাতা-মাহমুদা আক্তার পারুল, সাং-তারাটি, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ বর্তমান সাং-পোষ্টার কলোনী, থানা-মতিঝিল, ডিএমপি ঢাকা ।
এই সংক্রান্তে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-০৬, তাং-০২/০৬/২০২৪ইং, ধারা-৩০২/৩০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু করা হয়। মামলা দায়ের পর ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম উক্ত ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামেন। তথ্য প্রযুুক্তি ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে উক্ত হত্যাকান্ডের মূল হত্যাকারীঃ-

১। মোঃ ইলিয়াছ আলী (৫৫)বছর , পিতা-মৃত হাসেম আলী, সাং-তারাটি, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান সাং-গোহাইলকান্দি (প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন), থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ এবং
২। আহাদুজ্জামান ফারুক(৩০)বছর , পিতা-মৃতঃ আক্তারুজ্জামান, মাতা-মাহবুবা বেগম রিনা,সাং-চর হোসেনপুর, থানা- ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ এবং লাশ বহনকারী গাড়ীর ড্রাইভার ৩। আব্দুল হান্নান আকন্দ (৬৫)বছর , পিতা-মৃত মীর হোসেন আকন্দ, মাতা-মৃত আছিয়া খাতুন, সাং-চান্দুরা (বিরাজ প্রফেসরের বাড়ীর পাশে), থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান সাং-বলাশপুর, হাক্কানী পশ্চিম মসজিদের মোড় (জনৈক আব্দুল হান্নান এর বাসার ভাড়াটিয়া), জেলা-ময়মনসিংহ হতে গত ০৪/০৬/২০২৪ইং ঢাকা ও ময়মনসিংহ ধোবাউড়া থানা এলাকা থেকে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেন ।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যায়, আসামী ইলিয়াছ ও ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ পরস্পর আপন চাচা ভাতিজা। আসাামি ইলিয়াছ এর মেয়ে ইভা আক্তারকে ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ (২৪)বছর,গোপনে বিবাহ করে। ইভার ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ এর সাথে বিবাহের পূর্বে অন্যত্র বিবাহ হয়েছিল। বিষয়টি পরবর্তীতে ইভার বাবা মা জানলে তাহার চরম ক্ষিপ্ত হয় এবং এই বিবাহ কোনক্রমেই মেনে নিবে না বলে জানায়।

এই ঘটনা নিয়ে ইলিয়াছ এর আপন ভাই ইউসুফ (ডিসিষ্ট এর বাবা) এর সাথে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। দুইজনের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয় এবং ওমর ফারুক সৌরভকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আসামী ইলিয়াছ তার মেয়ে ইভাকে গত মে মাসের মাঝামাঝি পড়াশুনার জন্য কানাডা পাঠায়। গত ০২/০৬/২০২৪ইং,বিকালে ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ ময়মনসিংহ আসে এবং চাচাতো ভাই মৃদুল (১৭)বছর (আসামী ইলিয়াছ এর ছেলে) কে ফোন দিলে, মৃদুল সৌরভকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন গোহাইলকান্দি (প্রাইমার স্কুল সংলগ্ন) বাসায় আসতে বলে। সৌরভ বাসায় গেলে চাচা ইলিয়াছ বাসার নিচ তলায় একটি ভাড়া করা কক্ষে নিয়ে হাত পা বাঁধে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইলিয়াছ এর শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক (৩০) কে ফোন করে ময়মনসিংহ বাসায় ডেকে নিয়ে আসে এবং এক পর্যায়ে দুজন মিলে সৌরভকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ বাথরুমে রাখে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মাফিক ময়মনসিংহ গাঙ্গীনারপাড় হতে ট্রলি ব্যাগ (লাগেজ), পলিথিন ও হ্যান্ডগুলোস কিনে বাসায় নিয়ে যায়। বাথরুমে রাখা সৌরভ এর মৃত দেহের শরীর হতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা এবং দুই পায়ের ঊরু বিচ্ছিন্ন করে পলিথিনে প্যাকেট করে লাগেজের মধ্যে রাখে। মাথাটি স্বচ্ছ পলিথিনে মুড়িয়ে একটি শপিং ব্যাগে রাখে। ইং ০২-০৬-২০২৪ইং তারিখ রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় লাগেজ ও শপিং ব্যাগে রাখা

মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে আসামী ইলিয়াছ আলী ও আহাদুজ্জামান ফারুক একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে প্রাইভেটকারের ব্যাগ ডালার ভিতরে নিয়ে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন মনতলা ব্রীজের উপর হতে সুতিয়াখালী নদীতে ফেলে দেয়।

উক্ত মামলাটি কোতোয়ালী মডেল থানা অধীনে পুলিশ তদন্ত করছে বলে এমনটি জানা যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

চাঞ্চল্যকর ৪ খন্ড লাশের রহস্য উন্মোচন, আলামতসহ ও হত্যাকারী গ্রেফতার

Update Time : ০৭:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪


মোঃ রেজাউল করিম,
ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর,ময়মনসিংহ:
গত ০২-০৬-২০২৪ইং তারিখে সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী মডেল থানাধীন মনতলাস্থ সুতিয়াখালী নদীর ব্রীজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাগেজ ও পাশেই স্থলভাগে একটি মানুষের মাথা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা নিকটস্থ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ঘটনাস্থল হতে মানুষের মাথা ও পাশেই পানিতে ভাসমান লাগেজ উদ্ধার করে লাগেজ খুলে চার টুকরা পুরুষের খন্ডিত অংশ পাওয়া যায়।

পুলিশের পাশাপাশি পুলিশে অন্যান্য বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআই, সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক লাশের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ জেলা পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুকে সংবাদ পোষ্ট করা হয়। ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আনুষক্সিগক অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করে লাশের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহের নিমিত্তে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যাকান্ডের বিষয়ে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভিকটিমের আত্মীয় -স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম এর মুখমন্ডল, পড়নের কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট দেখে পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হন। সনাক্তকৃতদের পরিচয় থেকে জানা যায় ভিকটিমের নাম ওমর ফারুক সৌরভ (২৪)বছর পিতা-মোঃ ইউসুফ আলী, মাতা-মাহমুদা আক্তার পারুল, সাং-তারাটি, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ বর্তমান সাং-পোষ্টার কলোনী, থানা-মতিঝিল, ডিএমপি ঢাকা ।
এই সংক্রান্তে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-০৬, তাং-০২/০৬/২০২৪ইং, ধারা-৩০২/৩০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু করা হয়। মামলা দায়ের পর ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম উক্ত ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামেন। তথ্য প্রযুুক্তি ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে উক্ত হত্যাকান্ডের মূল হত্যাকারীঃ-

১। মোঃ ইলিয়াছ আলী (৫৫)বছর , পিতা-মৃত হাসেম আলী, সাং-তারাটি, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান সাং-গোহাইলকান্দি (প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন), থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ এবং
২। আহাদুজ্জামান ফারুক(৩০)বছর , পিতা-মৃতঃ আক্তারুজ্জামান, মাতা-মাহবুবা বেগম রিনা,সাং-চর হোসেনপুর, থানা- ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ এবং লাশ বহনকারী গাড়ীর ড্রাইভার ৩। আব্দুল হান্নান আকন্দ (৬৫)বছর , পিতা-মৃত মীর হোসেন আকন্দ, মাতা-মৃত আছিয়া খাতুন, সাং-চান্দুরা (বিরাজ প্রফেসরের বাড়ীর পাশে), থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান সাং-বলাশপুর, হাক্কানী পশ্চিম মসজিদের মোড় (জনৈক আব্দুল হান্নান এর বাসার ভাড়াটিয়া), জেলা-ময়মনসিংহ হতে গত ০৪/০৬/২০২৪ইং ঢাকা ও ময়মনসিংহ ধোবাউড়া থানা এলাকা থেকে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেন ।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যায়, আসামী ইলিয়াছ ও ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ পরস্পর আপন চাচা ভাতিজা। আসাামি ইলিয়াছ এর মেয়ে ইভা আক্তারকে ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ (২৪)বছর,গোপনে বিবাহ করে। ইভার ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ এর সাথে বিবাহের পূর্বে অন্যত্র বিবাহ হয়েছিল। বিষয়টি পরবর্তীতে ইভার বাবা মা জানলে তাহার চরম ক্ষিপ্ত হয় এবং এই বিবাহ কোনক্রমেই মেনে নিবে না বলে জানায়।

এই ঘটনা নিয়ে ইলিয়াছ এর আপন ভাই ইউসুফ (ডিসিষ্ট এর বাবা) এর সাথে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। দুইজনের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয় এবং ওমর ফারুক সৌরভকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আসামী ইলিয়াছ তার মেয়ে ইভাকে গত মে মাসের মাঝামাঝি পড়াশুনার জন্য কানাডা পাঠায়। গত ০২/০৬/২০২৪ইং,বিকালে ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ ময়মনসিংহ আসে এবং চাচাতো ভাই মৃদুল (১৭)বছর (আসামী ইলিয়াছ এর ছেলে) কে ফোন দিলে, মৃদুল সৌরভকে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন গোহাইলকান্দি (প্রাইমার স্কুল সংলগ্ন) বাসায় আসতে বলে। সৌরভ বাসায় গেলে চাচা ইলিয়াছ বাসার নিচ তলায় একটি ভাড়া করা কক্ষে নিয়ে হাত পা বাঁধে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইলিয়াছ এর শ্যালক আহাদুজ্জামান ফারুক (৩০) কে ফোন করে ময়মনসিংহ বাসায় ডেকে নিয়ে আসে এবং এক পর্যায়ে দুজন মিলে সৌরভকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ বাথরুমে রাখে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মাফিক ময়মনসিংহ গাঙ্গীনারপাড় হতে ট্রলি ব্যাগ (লাগেজ), পলিথিন ও হ্যান্ডগুলোস কিনে বাসায় নিয়ে যায়। বাথরুমে রাখা সৌরভ এর মৃত দেহের শরীর হতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা এবং দুই পায়ের ঊরু বিচ্ছিন্ন করে পলিথিনে প্যাকেট করে লাগেজের মধ্যে রাখে। মাথাটি স্বচ্ছ পলিথিনে মুড়িয়ে একটি শপিং ব্যাগে রাখে। ইং ০২-০৬-২০২৪ইং তারিখ রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় লাগেজ ও শপিং ব্যাগে রাখা

মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে আসামী ইলিয়াছ আলী ও আহাদুজ্জামান ফারুক একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে প্রাইভেটকারের ব্যাগ ডালার ভিতরে নিয়ে কোতোয়ালী মডেল থানাধীন মনতলা ব্রীজের উপর হতে সুতিয়াখালী নদীতে ফেলে দেয়।

উক্ত মামলাটি কোতোয়ালী মডেল থানা অধীনে পুলিশ তদন্ত করছে বলে এমনটি জানা যায়।