মোঃ রেজাউল করিম,
ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর,ময়মনসিংহ:গত ২০জানুয়ারি রোজ শনিবার ২০২৪ইং, সকাল ০৯.১৫ ঘটিকায় সময় জাতীয় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এর মাধ্যমে জনৈক ব্যক্তি মুক্তাগাছা থানাধীন তারাটি ইউনিয়নের বিরাশী গ্রামে মাদ্রাসার পিছনে জনৈক আঃ সাত্তারের পতিত আবাদী জমির উপর অজ্ঞাতনামা একজন কিশোরের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানান।
সংবাদ পেয়ে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শামীম মিয়া (১৬)বছর,এর লাশ হিসেবে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
মৃত্যুঃ শামীম মিয়া পেশায় একজন অটোচালক। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা(মামলা নং-১৪,তাং-২০/০১/২০২৪ইং ধারা-৩৯২/৩০২/২০১, পেনাল কোড ১৮৬০) রুজু করা হয়।

এ ঘটনায় সমগ্র মুক্তাগাছা থানা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ময়মনসিংহ জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ-এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)জনাব,শাহ্ মিনহাজ উদ্দিন ও এসআই (নিঃ) পরিমল চন্দ্র সরকার, পিপিএম তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর তদন্ত শুরু করে এবং সঙ্গীয় অফিসার-টিমসহ ঘটনার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে তথা- ২০-০১-২০২৪ইং-এর মধ্যে সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় সময় মৃত্যু শামীম হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত মূল হত্যাকারী আসামি মোঃ রাকিবুল ইসলাম(২৩)বছর কে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদেঃ-আসামি মোঃ রাকিবুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক। প্রায় দুই মাস আগে সে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা লোন নিয়েছে যা প্রতি সপ্তাহে ৩,০০০/-(তিন হাজার) টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করে আসছে। ঋণগ্রস্থ অবস্থায় আসামী কিস্তির টাকা পরিশোধে অপারগ হয়ে গত ১৮/০১/২০২৪ইং,রোজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী অটোচালক ভিকটিম মৃত্যঃ শামীমের সাথে ভাড়া নেওয়া অটো গাড়ীটি বিক্রি করবে মর্মে পরামর্শ করে। সেই মোতাবেক গত- ১৯জানুয়ারি ২০২৪ইং বিকাল অনুমান ৪.০০ ঘটিকায় সময় মুক্তাগাছা থানা এলাকার ফকিরগঞ্জ বাজার থেকে আসামী এবং ভিকটিম ভাড়ায় চালিত অটো-রিক্সা নিয়ে যত্রতত্র ঘোরাঘুরি করে একসময় জামালপুর জেলার সদর থানাধীন নরুন্দি বাজারে যায়। সেখানে বিকাল অনুমান রাত ৭.৩০ ঘটিকায় সময় তারা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে গাড়িটি ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকায় বিক্রি করেন। ভিকটিম শামীম এই টাকা হস্তগত করে আসামী রাকিবুল কে মাত্র ২,০০০-(দুই হাজার) টাকা দিলে আসামী ক্রোধের বশবর্তী হয়ে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে সে ভিকটিম শামীমকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ঘটনাস্থল মুক্তাগাছা থানার বিরাশি গ্রামের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে সন্ধ্যা অনুমান ৮.৩০ ঘটিকায় সময় ভিকটিম শামীমের পরিহিত জ্যাকেটের ফিতা টান দিয়ে খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তারাটি ইউনিয়নে মাদ্রাসার পিছনে ফেলে রেখে চলে যায়।

এ সংক্রান্তে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত করা হয়েছে।
এবং জানানো হয়েছে,উক্ত আসামি কে আদালতে হস্তান্তর করা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে কতৃপক্ষ জানান।