![](https://crimetalash.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
কেন্দুয়া (নেএকোনা) প্রতিনিধি:নেএকোনার কেন্দুয়ায় স্বামী ও ভাসুরের নির্মম নির্যাতনে শিক্ষার হয়েছে বান্দনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুনা আক্তার।
এঘটনাটি (১১ফেব্রুয়ারী রবিবার ) দুপুরে উপজেলার বলাশিমুল ইউপির কচুনধরা গ্রামে ঘটে । যৌতুকের জন্য তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী ও ভাসুর দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রুনা আক্তার। এঘটনায় আজ থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষিকা ।
অভিযোগে স্বামী সিরাজ মিয়া(৩৮), ভাসুর অলি উল্লাহ (৪৩) কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী রুনা আক্তার জানান, তাঁর বাবার বাড়ি জেলার কমলাকান্দা উপজেলা কৈলাটি ইউনিয়নে। ১৩ বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মতিতেই কচুনধরা গ্রামের সিরাজ মিয়ার সাথে বিবাহ হয়।
দাম্পত্যজীবনে তাঁর এক পুএ ও তিন কন্যা সন্তান জনক হন। বিয়ের পরে স্বামীর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগের ফলে বাপের বাড়ি থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এনে দেন রুনা।
এরইমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালেয়ে চাকরি হলে বেতনের সমুদয় টাকাই ভোগ করেন অর্থলোভী স্বামী সিরাজ মিয়া । তাতেও কান্ত হয়নি সম্প্রতি স্বামীকে ৪ লাখ টাকা লোন তুলে দিতে বাধ্য ভুক্তভোগী রুনা।
এখন আরো ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়া চাপ সৃষ্টি করে স্বামী সিরাজ মিয়া ।
(১১ফেব্রুয়ারী ) এই টাকার জন্য ফের চাপ দিলে শিক্ষিকা রুনা টাকা এনে দিতে পারব না জানালে তাঁর প্রতি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে বাগবিতণ্ডা জড়ায়। এক পর্যায়ে শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারপিট করে তাঁরা।
খবর পেয়ে সহকর্মী শিক্ষক ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধর নেতৃবৃন্দের সহায়তা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে তিনি । ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রুনা আক্তার জানান, বিয়ের পরে এ পযর্ন্ত বাপের বাড়ি থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা এনে দিয়েছি তাকে। চাকরির বেতনের টাকা সে ভোগ করে । ৪ লাখ টাকার লোন তুলে দিয়েও তার মন পাইলাম না। কয়েকমাস ধরে বাপের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য ভীষন চাপ দিলে আমি পারবোনা বলার পরপরই আমাকে লাহোর রড দিয়ে মারপিট করে আমার সারা শরীর ঝাজড়া করে দিয়েছে। আমি এদের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ । সুষ্ঠু বিচার চান তিনি । এবিষয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্কুল শিক্ষিকা কল্যানী হাসান জানান, ভুক্তভোগী মহিলা একজন স্কুল শিক্ষক ।
একজন স্কুল যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হতে হয় আমরা কোন সমাজে বসবাস করি? এমন প্রশ্ন রাখেন প্রতিবেদকের কাছে। তিনি আরো বলেন , আমি তাঁর শরীরের সব আঘাত গুলো দেখেছি ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামিরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী একজন মেধাবী শিক্ষক। স্বামী ও ভাসুরে দ্বারা তাঁর এমন নির্যাতন কাম্য নয়। এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানাই।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন ।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে সবধরনের আইনি সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি ।