Add more content here...
Dhaka ১২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

কেন্দুয়ায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী ভাসুরের হাতে নির্যাতিত স্কুল শিক্ষিকা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৮৪ Time View

কেন্দুয়া (নেএকোনা) প্রতিনিধি:নেএকোনার কেন্দুয়ায় স্বামী ও ভাসুরের নির্মম নির্যাতনে শিক্ষার হয়েছে বান্দনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুনা আক্তার।
এঘটনাটি (১১ফেব্রুয়ারী রবিবার ) দুপুরে উপজেলার বলাশিমুল ইউপির কচুনধরা গ্রামে ঘটে । যৌতুকের জন্য তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী ও ভাসুর দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রুনা আক্তার। এঘটনায় আজ থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষিকা ।
অভিযোগে স্বামী সিরাজ মিয়া(৩৮), ভাসুর অলি উল্লাহ (৪৩) কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী রুনা আক্তার জানান, তাঁর বাবার বাড়ি জেলার কমলাকান্দা উপজেলা কৈলাটি ইউনিয়নে। ১৩ বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মতিতেই কচুনধরা গ্রামের সিরাজ মিয়ার সাথে বিবাহ হয়।
দাম্পত্যজীবনে তাঁর এক পুএ ও তিন কন্যা সন্তান জনক হন। বিয়ের পরে স্বামীর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগের ফলে বাপের বাড়ি থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এনে দেন রুনা।
এরইমধ্যে প্রাথমিক বিদ‍্যালেয়ে চাকরি হলে বেতনের সমুদয় টাকাই ভোগ করেন অর্থলোভী স্বামী সিরাজ মিয়া । তাতেও কান্ত হয়নি সম্প্রতি স্বামীকে ৪ লাখ টাকা লোন তুলে দিতে বাধ্য ভুক্তভোগী রুনা।
এখন আরো ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়া চাপ সৃষ্টি করে স্বামী সিরাজ মিয়া ।
(১১ফেব্রুয়ারী ) এই টাকার জন্য ফের চাপ দিলে শিক্ষিকা রুনা টাকা এনে দিতে পারব না জানালে তাঁর প্রতি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে বাগবিতণ্ডা জড়ায়। এক পর্যায়ে শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারপিট করে তাঁরা।
খবর পেয়ে সহকর্মী শিক্ষক ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধর নেতৃবৃন্দের সহায়তা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে তিনি । ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রুনা আক্তার জানান, বিয়ের পরে এ পযর্ন্ত বাপের বাড়ি থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা এনে দিয়েছি তাকে। চাকরির বেতনের টাকা সে ভোগ করে । ৪ লাখ টাকার লোন তুলে দিয়েও তার মন পাইলাম না। কয়েকমাস ধরে বাপের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য ভীষন চাপ দিলে আমি পারবোনা বলার পরপরই আমাকে লাহোর রড দিয়ে মারপিট করে আমার সারা শরীর ঝাজড়া করে দিয়েছে। আমি এদের অত‍্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ । সুষ্ঠু বিচার চান তিনি । এবিষয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্কুল শিক্ষিকা কল‍্যানী হাসান জানান, ভুক্তভোগী মহিলা একজন স্কুল শিক্ষক ।
একজন স্কুল যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হতে হয় আমরা কোন সমাজে বসবাস করি? এমন প্রশ্ন রাখেন প্রতিবেদকের কাছে। তিনি আরো বলেন , আমি তাঁর শরীরের সব আঘাত গুলো দেখেছি ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামিরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী একজন মেধাবী শিক্ষক। স্বামী ও ভাসুরে দ্বারা তাঁর এমন নির্যাতন কাম‍‍্য নয়। এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানাই।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন ।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে সবধরনের আইনি সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

কেন্দুয়ায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী ভাসুরের হাতে নির্যাতিত স্কুল শিক্ষিকা

Update Time : ১১:১৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কেন্দুয়া (নেএকোনা) প্রতিনিধি:নেএকোনার কেন্দুয়ায় স্বামী ও ভাসুরের নির্মম নির্যাতনে শিক্ষার হয়েছে বান্দনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুনা আক্তার।
এঘটনাটি (১১ফেব্রুয়ারী রবিবার ) দুপুরে উপজেলার বলাশিমুল ইউপির কচুনধরা গ্রামে ঘটে । যৌতুকের জন্য তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী ও ভাসুর দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রুনা আক্তার। এঘটনায় আজ থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষিকা ।
অভিযোগে স্বামী সিরাজ মিয়া(৩৮), ভাসুর অলি উল্লাহ (৪৩) কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী রুনা আক্তার জানান, তাঁর বাবার বাড়ি জেলার কমলাকান্দা উপজেলা কৈলাটি ইউনিয়নে। ১৩ বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মতিতেই কচুনধরা গ্রামের সিরাজ মিয়ার সাথে বিবাহ হয়।
দাম্পত্যজীবনে তাঁর এক পুএ ও তিন কন্যা সন্তান জনক হন। বিয়ের পরে স্বামীর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগের ফলে বাপের বাড়ি থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এনে দেন রুনা।
এরইমধ্যে প্রাথমিক বিদ‍্যালেয়ে চাকরি হলে বেতনের সমুদয় টাকাই ভোগ করেন অর্থলোভী স্বামী সিরাজ মিয়া । তাতেও কান্ত হয়নি সম্প্রতি স্বামীকে ৪ লাখ টাকা লোন তুলে দিতে বাধ্য ভুক্তভোগী রুনা।
এখন আরো ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়া চাপ সৃষ্টি করে স্বামী সিরাজ মিয়া ।
(১১ফেব্রুয়ারী ) এই টাকার জন্য ফের চাপ দিলে শিক্ষিকা রুনা টাকা এনে দিতে পারব না জানালে তাঁর প্রতি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে বাগবিতণ্ডা জড়ায়। এক পর্যায়ে শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারপিট করে তাঁরা।
খবর পেয়ে সহকর্মী শিক্ষক ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধর নেতৃবৃন্দের সহায়তা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে তিনি । ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রুনা আক্তার জানান, বিয়ের পরে এ পযর্ন্ত বাপের বাড়ি থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা এনে দিয়েছি তাকে। চাকরির বেতনের টাকা সে ভোগ করে । ৪ লাখ টাকার লোন তুলে দিয়েও তার মন পাইলাম না। কয়েকমাস ধরে বাপের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য ভীষন চাপ দিলে আমি পারবোনা বলার পরপরই আমাকে লাহোর রড দিয়ে মারপিট করে আমার সারা শরীর ঝাজড়া করে দিয়েছে। আমি এদের অত‍্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ । সুষ্ঠু বিচার চান তিনি । এবিষয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্কুল শিক্ষিকা কল‍্যানী হাসান জানান, ভুক্তভোগী মহিলা একজন স্কুল শিক্ষক ।
একজন স্কুল যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হতে হয় আমরা কোন সমাজে বসবাস করি? এমন প্রশ্ন রাখেন প্রতিবেদকের কাছে। তিনি আরো বলেন , আমি তাঁর শরীরের সব আঘাত গুলো দেখেছি ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামিরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী একজন মেধাবী শিক্ষক। স্বামী ও ভাসুরে দ্বারা তাঁর এমন নির্যাতন কাম‍‍্য নয়। এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানাই।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন ।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে সবধরনের আইনি সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি ।