Add more content here...
Dhaka ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

আমতলীতে তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে রাতে কোচিং বানিজ্য জমজমাট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • ২২০ Time View

মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় , কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রকাশ্যে চলছে কোচিং বাণিজ্য। প্রতিদিন সন্ধ্য ৬ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১ টা চলে এই কোচিং বাণিজ্য। শিক্ষকরা বিভিন্ন কৌশলে ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী দিলিপ, মো.জসিম, শ্রীদিগেন ২য় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ক্লাশ ওয়ারী ২শতাধিক শিক্ষাথীদের মাস প্রতি ৩০০-৫০০ টাকা নিয়ে কোচিং এ পড়ান। কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আতিক ও মো. শাহিন প্রধান শিক্ষক ফারুক আলমের সহযোগিতায় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ২য় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিক্ষাথীদের মাস প্রতি সর্বনি¤œ ৩০০টাকা থেকে শুর করে ৫০০ টাকা নিয়ে কোচিং পড়ান। গাজীপুর বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মো. খোকন স্কুল ভবনের ৩ তলায় তৃতীয় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৩০০- ৫০০ টাকা নিয়ে করে কোচিং এ পড়ান।
সরেজমিনে দেখা যায় দিনের মত ক্লাশ হচ্ছে রাতের বেলাও।ছাত্রছাত্রীরা জানান , স্কুলে কোচিং বাধ্যতামূলক। না করলে অভিভাবকদের ডাকায় স্যারেরা।
এব্যপারে গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. খোকন বলেন করোনাকালীন বাচ্চারা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কোচিংএপড়াচ্ছি ।কুকুয়াহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী দিলিপ,ও মো. জসিম জানান, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভবাকদের অনুরোধে রাতে পড়াই।কুকুয়াগোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক মো.আতিক বলেন যারা একটু পিছিয়ে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা বাড়ী বসে পড়া লেখা করেনা তাই স্কুলে বসে পড়াচ্ছি রাতে। কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির মাহমুদ বলেন, এ বিষয় পরে কথা বলবো।কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক আলম বলেন, আমি বিষয় কোন কথা বলতে চাইনা।
বেশ কয়েক জন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন সরকার প্রাইমারী স্কুলের বিদ্যুত বিল দেয় । শিক্ষকরা রাতের বেলা দিনের মত স্কুল চালায় । এতে সরকারকে অতিরিক্ত বিদ্যুত বিলের টাকা দিতে হয়। এসব অনিয়ম করলেও দেখার মত কেহ নাই।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিকুল আলম বলেন, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা জেলা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাফ্ফর উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন খোজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল আলম মুঠোফোনে বলেন তদন্তপূর্বক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

আমতলীতে তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে রাতে কোচিং বানিজ্য জমজমাট

Update Time : ০৫:২৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় , কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রকাশ্যে চলছে কোচিং বাণিজ্য। প্রতিদিন সন্ধ্য ৬ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১ টা চলে এই কোচিং বাণিজ্য। শিক্ষকরা বিভিন্ন কৌশলে ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী দিলিপ, মো.জসিম, শ্রীদিগেন ২য় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ক্লাশ ওয়ারী ২শতাধিক শিক্ষাথীদের মাস প্রতি ৩০০-৫০০ টাকা নিয়ে কোচিং এ পড়ান। কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আতিক ও মো. শাহিন প্রধান শিক্ষক ফারুক আলমের সহযোগিতায় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ২য় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিক্ষাথীদের মাস প্রতি সর্বনি¤œ ৩০০টাকা থেকে শুর করে ৫০০ টাকা নিয়ে কোচিং পড়ান। গাজীপুর বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মো. খোকন স্কুল ভবনের ৩ তলায় তৃতীয় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৩০০- ৫০০ টাকা নিয়ে করে কোচিং এ পড়ান।
সরেজমিনে দেখা যায় দিনের মত ক্লাশ হচ্ছে রাতের বেলাও।ছাত্রছাত্রীরা জানান , স্কুলে কোচিং বাধ্যতামূলক। না করলে অভিভাবকদের ডাকায় স্যারেরা।
এব্যপারে গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. খোকন বলেন করোনাকালীন বাচ্চারা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি। তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কোচিংএপড়াচ্ছি ।কুকুয়াহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী দিলিপ,ও মো. জসিম জানান, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভবাকদের অনুরোধে রাতে পড়াই।কুকুয়াগোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক মো.আতিক বলেন যারা একটু পিছিয়ে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা বাড়ী বসে পড়া লেখা করেনা তাই স্কুলে বসে পড়াচ্ছি রাতে। কুকুয়া হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির মাহমুদ বলেন, এ বিষয় পরে কথা বলবো।কুকুয়া গোছখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক আলম বলেন, আমি বিষয় কোন কথা বলতে চাইনা।
বেশ কয়েক জন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন সরকার প্রাইমারী স্কুলের বিদ্যুত বিল দেয় । শিক্ষকরা রাতের বেলা দিনের মত স্কুল চালায় । এতে সরকারকে অতিরিক্ত বিদ্যুত বিলের টাকা দিতে হয়। এসব অনিয়ম করলেও দেখার মত কেহ নাই।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিকুল আলম বলেন, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা জেলা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাফ্ফর উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন খোজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল আলম মুঠোফোনে বলেন তদন্তপূর্বক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।