বিপ্লব আহমেদ,ঢাকা:রাজধানী ঢাকায় মিরপুর এরিয়া বেশ জনপ্রিয় বেকারির খাদ্যসামগ্রীর মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, মিরপুরের সব বেকারির কারখানায় এসব খাবার তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে।

সরেজমিন বেকারির কারখানাগুলোতে দেখা গেছে, অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশ এবং প্রতিটি কারখানার ভেতরে স্যাঁতসেঁতে। নিম্ন মানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশসহ বিভিন্ন পণ্য কারখানার ভেতরে যেখানে রাখা আছে, সেখানেই ময়দা ও আটার গোডাউন। পাশে রাখা আছে জ্বালানির কাঠও। সাথে রয়েছে মানবদেহের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ও পামওয়েল তেলের ড্রাম। এসব খাদ্যদ্রব্য তৈরির জন্য আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করার কড়াইগুলোও নোংরা।কারিগর দের হাতে নেই কোন হেন্স গুলাপ,শরীলের নোংরা কাপড় পায়ে নোংরা পঞ্জ জুতা পরিহিত করে তৈরি করছেন পণ্য সামগ্রী

প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরীর অভিযোগ রয়েছে। কালিঝুলি মাখা প্রতিটি কারখানার ভেতরে-বাইরে নোংরা কাদা, তরল ময়লা-আবর্জনা পরিবেশ। দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি। আশপাশেই নর্দমা ময়লার স্তুূপ। মশা-মাছির ভন ভন আর একাধিক স্থানে কাঁচা-পাকা টয়লেটের অবস্থান কারখানাগুলো স্থাপিত হয়েছে । কর্মচারীর পায়ের জুতার কারণে পানিও অনায়াসেই কারখানার ঘরে ঢোকে। এতে পিচ্ছিল কর্দমাক্ত হয়ে থাকে মেঝে, কাদাপানি ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় খাবারে, কারখানাগুলোয় পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা নেই, শীতকালে দম বন্ধ হওয়ার মতো গরম। এমনি পরিবেশে উৎপাদিত হচ্ছে বেকারি পণ্য। এছাড়াও নাকরির  চুলার  গরমে ঘামে চুপসানো অবস্থায় খালি গায়ে ও  ময়লা আবর্জনা পোশাক পরে বেকারি শ্রমিকরা আটা-ময়দা-দলিত মথিত করে। সেখানেই তৈরি হয় ব্রেড, বিস্কুট, কেকসহ নানা লোভনীয় খাদ্য। উৎপাদন ব্যয় কমাতে এসব বেকারির খাদ্যপণ্যে ভেজাল আটা, ময়দা, ডালডা, তেল, পচা ডিমসহ নিম্নমানের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। কেক ও ব্রেড তৈরির জন্য পেপারমেন্ট, সোডা ও ব্রেকিং পাউডার ব্যবহার করা হচ্ছে। বেকারি কারখানায় উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য সতেজ রাখতে টেক্সটাইলের রংসহ নানা কেমিক্যালও ব্যবহার করেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের পরিবেশে ও যেসব দ্রব্য দিয়ে বেকারি পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে তা মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ