Add more content here...
Dhaka ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ১২বছর পূর্তি ও ১৩ বছরে পদার্পণ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের রৌমারীতে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিলেন এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ ইউএনও-র সাথে কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষদের মতবিনিময় কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়লে মধ্যযোগী কায়দায় বড় ভাবিকে নির্যাতন রৌমারীতে কলেজের বিলসিট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভোলায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ ইয়াবাসহ এক নারী আটক ভোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধেরঘোষণা হাইকোর্ট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৩৪ Time View

মোঃ হারুন অর রশিদ রিপন,শেরপুরের প্রতিনিধি: অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধের নীতিমালাগুলোকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনসচেতনতা তৈরিতে নীতিমালাগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ করার লক্ষ্যে গাইডলাইনগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এই নীতিমালা মানতে এখন সবাই বাধ্য। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি হাইকোর্টের আরও একটি রায়।

এর আগে, গত ১১ই অক্টোবর প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৩০শে জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই সময় ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এর মতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি সিজার পদ্ধতি কোনো দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটি প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এছাড়া এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ শতাংশ। এটি আসলে এলার্মিং রাইজ, এ রেটটার বৃদ্ধি থামানোর জন্যই এ মামলা।

তিনি বলেন, চীনে সিজারের হার বিশ্বের মধ্যে খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নতুন নীতিমালা প্রণয়ণের কারণে এটা কমেছে। ব্রাজিলেও একই জিনিস দেখতে পেলাম।

তিনি আরও বলেন, গ্রামে-গঞ্জে যে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো আছে সেগুলো কোনো ধরনের সরকারি মনিটরিং ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সিজারিয়ান সেকশন করে যাচ্ছে। এটা থেকে অনেকের অমানবিক মৃত্যুও ঘটেছে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বাংলাদেশি it কোম্পানি

বালিয়াকান্দিতে ১৫ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্টজাল  আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

x

অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধেরঘোষণা হাইকোর্ট

Update Time : ০৮:১০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ হারুন অর রশিদ রিপন,শেরপুরের প্রতিনিধি: অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধের নীতিমালাগুলোকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনসচেতনতা তৈরিতে নীতিমালাগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ করার লক্ষ্যে গাইডলাইনগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এই নীতিমালা মানতে এখন সবাই বাধ্য। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি হাইকোর্টের আরও একটি রায়।

এর আগে, গত ১১ই অক্টোবর প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৩০শে জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই সময় ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছিলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এর মতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি সিজার পদ্ধতি কোনো দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটি প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এছাড়া এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ শতাংশ। এটি আসলে এলার্মিং রাইজ, এ রেটটার বৃদ্ধি থামানোর জন্যই এ মামলা।

তিনি বলেন, চীনে সিজারের হার বিশ্বের মধ্যে খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নতুন নীতিমালা প্রণয়ণের কারণে এটা কমেছে। ব্রাজিলেও একই জিনিস দেখতে পেলাম।

তিনি আরও বলেন, গ্রামে-গঞ্জে যে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো আছে সেগুলো কোনো ধরনের সরকারি মনিটরিং ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সিজারিয়ান সেকশন করে যাচ্ছে। এটা থেকে অনেকের অমানবিক মৃত্যুও ঘটেছে