আরমান হোসেন খান,জেলা প্রতিনিধি,ঢাকাঃ দেশেই তৈরি হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র, নিরাপত্তাহীনতায় জনসাধারণ। রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে মাঝে মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটছে। মাঝে মাঝেই গুলির শব্দ শুনতে হবে - এ যেন রুটিনওয়ার্কে পরিনত হয়েছে। অনেকে অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতেও ভয় পান। সংশ্লিষ্টরা জানান, অস্ত্রের নেপথ্য নায়কদের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অবগত। তবু লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। কারন তাদের অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের সাথে জড়িত। এর বাইরে দেশেই উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র তৈরির বিষয়টি রীতিমতো ভাবনার কারন হয়েছে গোয়েন্দাদের।
৪মার্চ সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষে আরাফাত আমিন নামের এক ছাত্রকে পায়ে গুলির ঘটনায় দেশব্যাপী রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতার সেই শিক্ষকের কাছ থেকে এ পর্যন্ত দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১টি গুলি, ৪টি ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
১২মার্চ রাজধানীর বাড্ডা থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধারকৃত পিস্তলের তথ্যে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে র্যাব কর্মকর্তাদের। একে একে গ্রেফতার করা হয় অস্ত্র তৈরির কারিগর মোখলেছুর রহমান সাগর সহ ছয়জনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি পিস্তল, গুলি সহ অস্ত্র তৈরির আধুনিক সরঞ্জাম।
অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখতে না পারলে কখনো অবস্থার পরিবর্তন হবে না। অবৈধ অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে কিভাবে আসছে - এর প্রতিটি বিষয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জানলেও প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্হা নিচ্ছে না। এর বিপরীতে বাড়তে থাকবে সামাজিক অস্থিরতা। বিরূপ প্রভাব পড়বে পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রেও।
" নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায় " এর মতো।