আব্দুল ওয়াদুদ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সৎ মা ও চাচার পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে জুবায়ের (১৫) নামে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
জুবায়ের উপজেলার উত্তর সুবিদখালী গ্রামের শফিক হোসেন মামুন মোল্লার ১ম স্ত্রীর ছেলে।সে সুবিদখালী দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণি এবং ২৬ পারা কুরআনের হাফেজ পড়ুয়া একজন ছাত্র।
গত শনিবার (২১ অক্টোবার) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে এঘটনা ঘটে। নির্মম নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে জুবায়ের বলেন, ছোট রেখে মা অন্যত্রে বিবাহ করলে, বাবাও কিছুদিন পর ২য় বিবাহ করে। ছোট বেলা থেকেই সৎ মা কারনে আকারে আমাকে মারধর করতো। আমাকে দেখলে নাকী তার শরীরে জ্বালা হয়। ওইদিন মাদরাসা থেকে বাড়ি গেলে চুরির অপবাদ দিয়ে বাবার চোখের সামনে সৎ মা মিতু ও চাচা সাইফুল লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে, গলা চেপে ধরে ও বুকের ওপর লাথি মারে আর বলতে থাকে তোকে মেরেই ফেলব। এসব আমার বাবা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখে। পরে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। সকালে জ্ঞান আসলে টয়লেটে যাবার কথা বলে পালিয়ে এসে আমার আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে থানায় গেলে তারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
চাচা সাইফুলের কাছে জানতে চাইলে বলেন, চুরি করেছে তাই শাসন করেছি।
জুবায়ের বাবা বলেন, যারা বেশি ভালোবাসে তারাই শাসন করে, একটু মারাটা বেশি হয়েছে।
এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ছেলেটি আহত অবস্থায় থানায় আসলে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য রাতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।